E-Paper

শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় লাবণীকে, রয়েছে রহস্যও

লাবণী পরিবার সূত্রের খবর, চাকদহ কলেজের ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লাবণী উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে বিউটিশিয়ান কোর্স করছিলেন। যদিও ঠিক কোথায় সেই পার্লার, তা পরিবারের কারও জানা নেই বলে দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৬
ও

লাবণী দাস। —নিজস্ব চিত্র।

মন্দারমণির উপকূলে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বছর চব্বিশের লাবণী দাসকে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে তেমনটাই জানা যাচ্ছে বলে পুলিশের দাবি। তবে চার দিন কেটে গেলেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী কী ভাবে উপকূলের ওই এলাকায় এলেন, তা নিয়ে নিয়ে ধন্দে তাঁর পরিবার।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে রামনগর ১ ব্লকের চাঁদপুর সাইক্লোন সেন্টারের পশ্চিম দিকে সৈকতের ধারে তরুণীর দেহ মেলে। বৃহস্পতিবার লাবণী দাস (২৮) নামে ওই তরুণীর দেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। শ্বাসরোধ করে খুনের আগে তাঁকে মদ বা অন্য কোনও নেশাদ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। মন্দারমণি থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে খুনের মামলা রুজু করেছে।

লাবণী পরিবার সূত্রের খবর, চাকদহ কলেজের ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লাবণী উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে বিউটিশিয়ান কোর্স করছিলেন। যদিও ঠিক কোথায় সেই পার্লার, তা পরিবারের কারও জানা নেই বলে দাবি। মৃতার দাদা দিলীপ পাল বলছেন, ‘‘রবিবার ব্যারাকপুরে দিদির বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে আসার কথা ছিল ওর। কিন্তু আসেনি। ভেবেছি হয়তো বাড়ি চলে গিয়েছে। কিন্তু তার পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ।’’ তাঁর আশঙ্কা, এর পিছনে বড় কোনও চক্র থাকতে পারে, যারা গরিব বাড়ির মেয়েদের কাজ ও টাকার লোভ দেখিয়ে বিপথে চালনা করে। চাউলখোলা-মন্দারমণি-তাজপুর জুড়ে এমন চক্র সক্রিয় বলে তাঁর দাবি।

পুলিশ সূত্রের খবর, আপাতত মন্দারমণি ও আশপাশের এলাকার কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপার (ড্রাগ অ্যান্ড থেরাপিউটিক) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিবারের তরফে কেউ কিছুই বলেননি। তদন্ত চলছে।’’

এ দিকে, শুক্রবারই অজ্ঞাতপরিচয় লোকজনের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন লাবণীর বাবা বলাই দাস। ময়নাতদন্তের পর রাতে তাহেরপুর পুরসভার এইচ ব্লকের বাড়িতে দেহ পৌঁছয়। পেশায় দিনমজুর বলাই বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার আত্মীয়েরা দেহ আনতে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের দেহ দেয়নি। বাধ্য হয়ে এ দিন নিজেই যাই। খুনের অভিযোগ দায়ের করেছি। কে বা কারা আমার মেয়েকে খুন করল, বুঝতে পারছি না। ও শুধু বলত, পার্লারে কাজ শেখে। কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলেই জানি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mandarmani Taherpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy