Advertisement
E-Paper

বেপরোয়া টোটো-যাত্রা

মাস কয়েক আগে সেই নিষেধ না শোনার মাসুল দিতে হয়েছিল বেলডাঙার স্বামী অখণ্ডানন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি মণ্ডলকে। অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে টোটোতে স্কুল যাচ্ছিল বৃষ্টি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৯
পড়ুয়াদের নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই ছুটছে টোটো। বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

পড়ুয়াদের নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই ছুটছে টোটো। বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

সচেতনতা চলছে। বিরাম নেই দুর্ঘটনারও! স্কুলে গিয়ে পুলিশ নিষেধ করেছে, জাতীয় সড়কে টোটোয় চেপে যেন পড়ুয়ারা না আসে। কিন্তু সে নিষেধ শুনছে কে! ছাত্রছাত্রী নিয়েই জাতীয় সড়ক ধরে ছুটছে টোটো।

মাস কয়েক আগে সেই নিষেধ না শোনার মাসুল দিতে হয়েছিল বেলডাঙার স্বামী অখণ্ডানন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি মণ্ডলকে। অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে টোটোতে স্কুল যাচ্ছিল বৃষ্টি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় বৃষ্টি ও আরও পাঁচ পড়ুয়া। ঘটনার কয়েক দিন পরে কলকাতায় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃষ্টির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পরেও টনক নড়েনি! এখনও পড়ুয়াদের নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ছুটছে টোটো।

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, ‘‘নজরদারির কারণে জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল বন্ধ হয়েছে। স্থানীয় পরিবহন সমস্যার জন্য কিছু টোটো জাতীয় সড়কে ওঠে। সেগুলি কী ভাবে বন্ধ করা যায় তা দেখা হবে।’’

মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথনের দাবি, ‘‘জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল নিষেধ করার পাশাপাশি লোকজনকেও সচেতন করা হচ্ছে। এর ফলে জাতীয় সড়কে টোটো ওঠার পরিমাণ কমেছে। পুলিশও নজরদারি চালাচ্ছে।’’

যদিও বাস্তব বলছে অন্য কথা। বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে শুরু করে চুঁয়াপুর, ভাকুড়ি, সারগাছি, ভাবতা, বেলডাঙা, রেজিনগরে ৩৪ জাতীয় সড়কে পড়ুয়াদের নিয়ে টোটো ছুটতে দেখা যাচ্ছে। স্বামী অখণ্ডানন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুদেষ্ণা সিংহ বলেন, ‘‘ওই দুর্ঘটনার পরেও পড়ুয়াদের নিয়মিত সচেতন করছি। তবে এটা পুরোপুরি বন্ধ করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।’’ চুঁয়াপুর বিদ্যানিকেতন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী সেন বলেন, ‘‘টোটো করে পড়ুয়ারা জাতীয় সড়ক ধরে যাতে না আসে সে বিষয়ে সচেতন করব।’’

বেলডাঙার বাসিন্দা সাদিক ইকবাল বলেন, ‘‘কম ভাড়ায় টোটো স্কুলে পৌঁছে দেয়। তাই গরিব পরিবারের পড়ুয়ারা টোটোকে বেছে নেয়। তবে নিরাপত্তার কারণে এটা বন্ধ হওয়া জরুরি।’’

Toto National Highway Awareness
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy