ডাক্তার পেটানোর মামলায় জড়িয়েও দিনভর বাড়িতে বসে বিশ্রাম নিয়ে গেলেন প্রধান অভিযুক্ত মতিউর হোসেন প্রামাণিক। কিন্তু পুলিশ বলছে, তিনি বেপাত্তা।
শুধু মতিউর হোসেন নন, পাত্তা নেই ভগবানগোলার কানাপুকুর ব্লক মেডিক্যাল অফিসার মতিউর হককে মারধরে অভিযুক্ত আরও ছ’জন। তিন দিনে আট অভিযুক্তের মধ্যে মাত্র এক জনকে পুলিশ ধরেছে। বাকিরা সবাই পালিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
অভিযুক্তদের জামিনঅযোগ্য ধারায় গ্রেফতারের দাবিতে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে জেলার ২৬টি ব্লকের বিএমওএইচ এবং চিকিৎসকেরা এ দিন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাসের হাতে স্মারকলিপি দেন। আইএমএ-র বহরমপুর শাখার সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে।’’ গত শনিবার দুপুরে তৃণমূলের তদানীন্তন ব্লক সভাপতি মতিউর হোসেনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন লোক ভগবানগোলা ১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিএমওএইচ মতিউর হককে মারধর করে বলে অভিযোগ। তিন দিন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি থাকার পরে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। গত রবিবার মতিউর হোসেনকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। পুলিশ কেন ধরছে না মতিউর আর তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের?
ভগবানগোলা থানার ওসি উৎপল দাসের দাবি, ‘‘অভিযুক্তেরা সকলেই এলাকাছাড়া। তাঁদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান জারি আছে।’’ মতিউর হোসেনের ছেলে ইমরান রবিবার জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন, মন ভাল নেই বলে কারও ফোন ধরছেন না। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘বাবা বাড়িতে নেই। কোথায় আছেন, জানি না। পরে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy