রাজমহলের লালমাটিয়া কয়লা খাদান থেকে কয়লা আসছে না। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপরেই পড়ে গিয়েছে প্রশ্ন চিহ্ন। ফরাক্কার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে শুধু ফরাক্কা নয়, এনটিপিসি-র কহলগাঁও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও বিদ্যুৎ উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
২১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বছরে এক কোটি ছয় লক্ষ মেট্রিক টন কয়লার প্রায় ৬০ শতাংশই আসে লালমাটিয়া থেকে। বাকিটা জোগান দেয়
রানিগঞ্জের কোলিয়ারি।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার লালমাটিয়া কয়লাখনিতে দুর্ঘটনায় ১৮ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই দুর্ঘটনার ঠিকা শ্রমিকেরা সুরক্ষার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তার ফলেই বন্ধ এনটিপিসির ফরাক্কা ও কহলগাঁও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ফরাক্কা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শৈবাল ঘোষ জানান, প্ল্যান্টে মজুত থাকা কয়লা দিয়ে এখনও বেশ কিছুদিন উৎপাদন জারি রাখা যাবে। তবে লালমাটিয়ার কয়লার জোগান সপ্তাহ খানেকের মধ্যে স্বাভাবিক না হলে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে।
লালমাটিয়া থেকে কয়লা জোগানের বিষয়টি দেখভাল করেন ফরাক্কা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার বিজয়কান্তি ঝা। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার পর ওই খনিতে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। ঠিকা শ্রমিকদের ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে কয়লা খাদান। বুধবার বিকেল পর্যন্ত এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তা স্বাভাবিক না হলে সমস্যায় বাড়বে বই কমবে না।।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy