মেয়াদ ফুরিয়েছে চার মাস আগে। অথচ, সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনই রোগীকে দেওয়া হল! এমন অভিযোগই উঠল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে।
ডায়েরিয়ার রোগী, একাদশ শ্রেণির ছাত্র গোলাম নবিকে সোমবার সন্ধ্যায় সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। গোলাম সাগরদিঘিরই বাসিন্দা। গোলামের পরিবারের দাবি, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৫টি স্যালাইন চলে। তার কাকা গোলাম আম্বিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে গোলাম নিজেই দেখে পঞ্চম স্যালাইনের বোতলটির মেয়াদ পাঁচ মাস আগেই শেষ হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি হাসপাতালের নার্সদের জানালে আয়ারা সেই বোতলটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আম্বিয়ার বলেন, “আশা করি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার পাব।’’ তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গোলামের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। অন্য দিকে এ দিনই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর থেকে কিছু ওষুধ বাইরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার প্রভাস চন্দ্র মৃধা বলছেন, “ওষুধ নষ্ট করতে যাব কেন? এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়।”
অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সুপার সুহৃতা পাল। বুধবার মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো দেখতে আসছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। তার আগে এমন অভিযোগে অস্বস্তি বাড়ল জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy