গাঁজা উদ্ধারে ধৃত চার জন। নিজস্ব চিত্র
গাঁজা পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হল ইতিহাসে স্নাতক এক ছাত্র। শনিবার গভীর রাতে তার সঙ্গেই জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে আরও তিন গাঁজা পাচারকারী।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাইরুল আলম ওরফে বিট্টু, মহমাদুল হোসেন, আকাশ বিশ্বাস এবং মিনারুল বিশ্বাস ওরফে ড্যানি। আকাশ রানিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। বাকিদের বাড়ি জলঙ্গিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহমাদুল করিমপুর কলেজ থেকে ২০১০ সালে ইতিহাস নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক হয়েছিল। তারপর আর সে পড়াশোনা করেনি। ধীরে ধীরে সে গাঁজা পাচারে যুক্ত হয়ে পড়ে। প্রথম দিকে জলঙ্গিতেই পাচারকারীদের কাছ থেকে গাঁজা কিনে সে স্থানীয় এলাকায় ব্যবসা করে হাত পাকায়। এর পর কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে পুরোপুরি গাঁজা পাচারে নেমে পড়ে মহমাদুল। গত কয়েক বছর ধরে তারা মালদহ এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও গাঁজা কিনে এনে জলঙ্গিতে বিক্রি করছিল।
ওই চার যুবক দু’দিন আগে কোচবিহারে গিয়েছিল গাঁজা কিনতে। শনিবার রাতে মহমাদুলরা জলঙ্গিতে ফিরছে খবর পায় পুলিশ। তবে বহরমপুরের রাস্তা দিয়ে গেলে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় তারা নবগ্রামের পলসন্ডা মোড় থেকে রাস্তা বদলে ফেলেছিল। লালবাগের দিকে যাওয়ার রাস্তা ধরে প্রথমে তারা ডাহাপাড়া ঘাটে আসে। শুধু তাই নয়, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে নম্বর না হওয়া, নতুন গাড়ি তারা ব্যবহার করছিল। কিন্তু, ডাহাপাড়া ফেরিঘাটে গাড়ি পার করতে পারিনি তারা। এরপর মুকুন্দবাগের রাস্তা দিয়ে আজিমগঞ্জে এসে সদরঘাট পার হয় ধৃতেরা। গোপন সূত্রে সে খবর আগাম পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সাদা পোশাকে পুলিশ জিয়াগঞ্জের নারকোলতলা ঘাট চত্বরে আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল। পাচারকারীদের দু’টি গাড়ি সদরঘাট পার হতেই পুলিশ সেগুলির পিছু নেয়। নারকোলতলা ঘাটের রাস্তায় গাড়ি পৌঁছতেই পাচারকারীদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে দু’টি গাড়ির ডিকি থেকে ৯০ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়। আটক করা হয়েছে গাড়ি দু’টি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অংশুমান সাহা বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জিয়াগঞ্জ থেকে ৯০ কিলো গাঁজা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy