E-Paper

শুরু সাবের নাম কাটানোর প্রক্রিয়া

বাংলাদেশি নাগরিক সওকত শেখকে রবিবার রাতে এবং সোহেল রানাকে সোমবার রাতে লালগোলা থেকে ধরা হয়েছে। তাদের ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে সাহায্যের অভিযোগে আসিউল আলম ওরফে হানিফকে লালগোলা এবং শাহারুল মোল্লাকে জলঙ্গি থেকে ধরা হয়েছে।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস , মফিদুল ইসলাম

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২৮
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রবিবার রাত থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় দু’জন বাংলাদেশি নাগরিক-সহ চার জনকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি, সে জেলার নওদা এবং হরিহরপাড়ার বিধানসভার ভোটার তালিকায় নাম তুলিয়ে ফেলা ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ (এবিটি)-এর জঙ্গি সন্দেহে ধৃত শাব শেখের নাম কাটানোর প্রক্রিয়াও শুরুকরেছে প্রশাসন।

মুর্শিদাবাদ পুলিশ-জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘দুই বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে আরও দুই ভারতীয়কে ধরা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না,দেখা হচ্ছে।’’

বাংলাদেশি নাগরিক সওকত শেখকে রবিবার রাতে এবং সোহেল রানাকে সোমবার রাতে লালগোলা থেকে ধরা হয়েছে। তাদের ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে সাহায্যের অভিযোগে আসিউল আলম ওরফে হানিফকে লালগোলা এবং শাহারুল মোল্লাকে জলঙ্গি থেকে ধরা হয়েছে।

সওকত এবং সোহেল দু’জনেই রাজশাহীর বাসিন্দা। তারা নিজেদের শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা সাজিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছে বলে পুলিশের দাবি। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সোহেল বছর আটেক আগে জলঙ্গির দয়ারামপুরের বাসিন্দা শাহারুলের সাহায্যে ভারতে ঢোকে। তারা বাংলাদেশিদের অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারাপারে সাহায্য করত। সে জন্য মাথাপিছু সাড়ে ২২ হাজার টাকা করে নিত। লালগোলার বালিগ্রামের বাসিন্দা আসিউলের একটি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। পুলিশের দাবি, আসিউল সোহেলকে ১২০০ টাকার বিনিময়ে জাল আধার কার্ড তৈরি করে দেয়। আসিউলের দোকান থেকে পুলিশ বেশ কিছু নকল সিল ও নথি পেয়েছে।

পাশাপাশি, কেরল থেকে ‘এবিটি’ জঙ্গি সন্দেহে ধৃত শাব শেখের ভোটার কার্ড বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘ওর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করছি। ইতিমধ্যে চলতি মাসের ১২ তারিখ নাম বাতিলের জন্য ফর্ম ৭ জমা পড়েছে। এর পরের তালিকায় নাম থাকবে না।’’

হরিহরপাড়ার কেদারতলার সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও ইব্রাহিম শেখ বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি কাকার বাড়িতে থাকত। ২০২৩ সালে নওদা থেকে এখানে ভোটার তালিকায় নাম পরিবর্তিত হয়ে ভোটার তালিকায় উঠেছে। আগের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড খতিয়ে দেখেই নাম তালিকায় নাম উঠেছে।’’ তবে প্রথম যেখানে ভোটার তালিকায় শাবের নাম উঠেছিল, নওদার সেই দুর্লভপুরের সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও শাহজাহান বিশ্বাসকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনিমোবাইল-বার্তার।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে এসে শাব প্রথমে নওদার দুর্লভপাড়ায় পিসির বাড়িতে উঠেছিল। পিসির নিকটাত্মীয় পিন্টু শেখের স্ত্রী রাকিবা বিবি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নওদা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। নওদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সহিদুল ইসলাম জানান, এই সময়ের মধ্যেই ২০১৯ সালে শাবের নাম ওঠে ভোটার তালিকায়। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের দাবি, ‘‘পিসির নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিল বলে শোনা যাচ্ছে।’’ তবে সহিদুল বলেন, “ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও আমরা তাকে চিনি না।’’ রাকিবা বলেন, “পিসির বাড়িতে তার আসা-যাওয়া ছিল। সে এখানে মাঝেমধ্যে থাকতও। তবে কী ভাবে ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে, বলতে পারব না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest Bangladesh Unrest Bangladeshi Bangladesh India-Bangladesh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy