Advertisement
০১ এপ্রিল ২০২৩
Underage marriage

minor girl marriage: ‘বিয়ে করতে চাই না’, স্কুলে ছুটে এল নবম শ্রেণির ছাত্রী

স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে খবর দেওয়া হয় চাইল্ড লাইনেও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দত্তপুলিয়া শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২২ ০৫:৩১
Share: Save:

শনিবার শিক্ষিকারা ব্যস্ত ছিলেন স্কুলের কাজে। সেই সময়ে হঠাৎই টিচার্স রুমে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।

Advertisement

সেখানে এসেই সে শিক্ষিকাদের বলে ওঠে, ‘‘আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। লেখাপড়া পড়তে চাই। যে ভাবেই হোক, আমার বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন আপনারা।’’

স্কুলের নাবালিকা মেয়েটির মুখে এই কথা শুনে হকচকিয়ে যান ওই শিক্ষিকারা। জানতে পারেন, আঠারো বছর হওয়ার আগেই মেয়েটির বাড়ি থেকে তার বিয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে খবর দেওয়া হয় চাইল্ড লাইনেও। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এর পরে ওই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে হোমে পাঠানো হয়।

শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া ইউনিয়ন একাডেমি ফর গার্লস স্কুলে। বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আভাসপুর গ্রামে ওই নাবালিকার বাড়ি। সে স্কুলে এসে শিক্ষিকাদের জানায়, সোমবার তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। যে ভাবেই হোক, শিক্ষিকারা তার ওই বিয়ে বন্ধ করুন। কারণ, সে এখন পড়তে চায়।

Advertisement

শনিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সর্বানী হোতা বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিজেই বিয়ে বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। এ কথা শোনার পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছিলাম। চাইল্ড লাইন থেকে প্রতিনিধি এসে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়েছে।’’

অন্য দিকে, দত্তপুলিয়া চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে জ্যোতির্ময় সরস্বতী বলেন, ‘‘যে কোনও কারণেই হোক, মেয়েটি আর তার বাড়ি ফিরে যেতে চাইছে না। সেই কারণে তাকে কৃষ্ণনগরে হোমে পাঠানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.