প্রেমিকের সঙ্গে বৃন্দাবনে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়েছিল কিশোরী। ইচ্ছায় বাদ সাধল রেলপুলিশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক কর্মীর ফোন পেয়ে চলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। আপাতত তার ঠাঁই হয়েছে একটি হোমে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানতলা থানার নওপাড়ায় থাকে ওই নাবালিকা। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার উদ্দেশে সে বেরিয়ে পড়ে। রানাঘাট স্টেশন থেকে সে উঠে পড়ে লেডিজ় স্পেশ্যালে। তাকে দেখে সন্দেহ হয় মহিলা যাত্রীদের। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক ব্যাঙ্ককর্মীও। তিনি এগিয়ে এসে কথা বলেন নাবালিকার সঙ্গে। ট্রেনের যাত্রীদের ওই কিশোরী জানায়, সে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে শিয়ালদহ যাচ্ছে। কিন্তু তার কথায় অসঙ্গতি দেখে যাত্রীদের সন্দেহ হয়। তাকে চেপে ধরলে সে স্বীকার করে নেয় যে, প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে শিয়ালদহ বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছে।
যদিও সেখান থেকে তাদের কোথায় যাওয়ার কথা, তা বলেনি নাবালিকা। উল্টে দাবি করে, বাবা জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়েছে সে। এর পরেই ব্যাঙ্ককর্মী যোগাযোগ করেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে। পরে ব্যারাকপুর সংলগ্ন শ্যামনগর স্টেশনে নাবালিকাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে রেলপুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়।
রেলপুলিশ সূত্রের খবর, নাবালিকা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে তার বৃন্দাবন যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সমাজমাধ্যমে এক প্রবচনদাতা পরামর্শ দিয়েছেন যে, বৃন্দাবনে প্রেমিকের সঙ্গে রাত কাটালে প্রেম অটুট হয়। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। এর পরে রেলপুলিশের তত্ত্বাবধানে নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসাতের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির আদালতে। তারপর তাকে সরকারি হোমে পাঠানো হয়।