আন্ডারপাস তৈরির জন্য পূর্ব ঘোষণামতো বাতিল হয়েছিল একাধিক ট্রেন। তার জেরে ভোগান্তির মুখে পড়লেন নিট পরীক্ষার্থী
এবং নিত্যযাত্রীরা।
রবিবার দুপুর ২টো থেকে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট শুরু হয়। পরীক্ষার্থীদের দুপুর দেড়টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে হত। কিন্তু এ দিন শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় বাতিল হয়েছিল একাধিক ট্রেন। মুর্শিদাবাদ স্টেশনের পাশে ১৪৩ নম্বর রেলগেটে আন্ডারপাস তৈরির জন্য লালগোলা শাখার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। পূর্ব নির্ধারিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ কাশিমবাজার পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল। যার জেরে লালগোলা ও ভগবানগোলার নিট পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা দুর্ভোগের মুখে পড়েন। বাধ্য হয়ে সড়কপথ ব্যবহার করেছেন তাঁরা।ভগবানগোলার নওদাপাড়ার নিট পরীক্ষার্থী তানিশা ইসলাম বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্র বহরমপুরের নিমতলা হাই স্কুলে। ট্রেনে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় সড়কপথে যেতে হয়েছে।” লালগোলার তারানগরের সাবিহা তাসনিম আফিয়ার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল হরিহরপাড়া হাজি এ কে খান কলেজ। তাঁর বাবা জহিরুল ইসলাম বলেন, “লালগোলা থেকে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে যে ট্রেন ছাড়ে, সেই ট্রেনে উঠেছিলাম। পরে আরও একটা ট্রেন ছিল, কিন্তু যদি বাতিল হয়ে যায়, তাই ঝুঁকি নিতে চাইনি। আগেই চলে যাই স্টেশনে।”
ভগবানগোলার দাঁড়াকান্দির পরীক্ষার্থী সোহানা পারভেজের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশনে। তাঁর বাবা ইমতিয়াজ আলম বলেন, “ট্রেন বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি। রেলের উচিত ছিল বাড়তি ট্রেন চালানো।”ভগবানগোলার কালুখালির পরীক্ষার্থী মহম্মদ তৌফিক শেখের পরীক্ষার সিট পড়েছিল বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে। তিনি বলেন, “ভেবেছিলাম ট্রেনে যাব, কিন্তু পরে শুনলাম ট্রেন বন্ধ। বন্ধুর মোটরবাইকে করে কেন্দ্রে পৌঁছই।’’ একই দুর্ভোগ হয়েছে ভগবানগোলার বর্ষতিগোলার তামান্না খাতুনের। তাঁর সিট পড়েছিল লালবাগ কলেজে। তাঁর দাদা সায়ন রাজা বলেন, “সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষার দিন এ ভাবে ট্রেন বন্ধ রাখা ঠিক হয়নি।’’ ট্রেন বাতিল প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, “পূর্ব নির্ধারিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ট্রাফিক ব্লকের কারণে দু’-একটি ট্রেন চলেনি। নিট পরীক্ষার্থীরা অনেক আগেই চলে যান কেন্দ্রে। ফলে ট্রেন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’ বাসে বাদুড়ঝোলা হয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছেন পরীক্ষার্থীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)