E-Paper

দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাজা এড়ালেন হুমায়ুন

মুর্শিদাবাদে দলের অন্দরে দীর্ঘ দিন ধরেই হুমায়ুনকে নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় হুমায়ুন সম্পর্ক কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১০:০০
মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই পর্ব থেকেই দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দল তাঁকে শো-কজ় করে। শেষ পর্যন্ত দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাজা এড়ালেন হুমায়ুন। শুক্রবার জেলার ভারপ্রাপ্ত নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দলের বিরুদ্ধে করা নিজের মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চান হুমায়ূন।

প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার কথা স্বীকার করে হুমায়ুন বলেন, ‘‘দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। তা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা সুব্রত বক্সীর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’ প্রকাশ্যে মন্তব্য করা নিয়ে ক্ষমা চাইলেও দলের জেলা নেতৃত্ব সম্পর্কে নিজের মন্তব্যে অনড় হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘সে সম্পর্কে যা বলার দলের ভিতরে বলব।’’

প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে দলের অন্দরে দীর্ঘ দিন ধরেই হুমায়ুনকে নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় হুমায়ুন সম্পর্ক কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন দলীয় নেতৃত্ব। গোটা বিষয়টি নিয়ে শনিবার জেলার নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্য সভাপতি বক্সী। তার আগের দিনই বিধানসভায় ফিরহাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপরই ক্ষমা প্রার্থনার কথা জানান হুমায়ুন।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন হুমায়ুন। সামাল দিতে দলের রাজ্য নেতৃত্ব গত ১৯ জুন মন্ত্রী মলয় ঘটককে মুর্শিদাবাদে পাঠান। সেখানে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হয়। কিন্তু মন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পরে ২০ জুন ফর্ম-বি জমা দেওয়ার শেষ দিন থেকে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফের সরব হন হুমায়ুন। হুমায়ুনের সঙ্গে জেলার চার বিধায়ক ছিলেন, সঙ্গে যোগ দেন আরও এক বিধায়ক।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন প্রচারে ডোমকল যান, সে দিনই বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সভা করার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নেন হুমায়ুন। তবে শেষে দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ওই সভা বাতিল করে অভিষেকের কর্মসূচিতে যোগ দিতে ডোমকলে গিয়েছিলেন হুমায়ুন।

হুমায়ুন নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভরতপুরে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দেন, তাঁদের হয়ে প্রচারেও যোগ দেন প্রকাশ্যেই। তবে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারেননি হুমায়ুনের নির্দল অনুগামীরা। জেলা নেতৃত্ব এ নিয়ে কথা বলতে চাননি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy