১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শৈলেন মান্নার নেতৃত্বে ন’জনের একটা দল গিয়েছিল। সেই সময় ফুটবলের দুনিয়ায় ব্রাজিলের বিশ্বজোড়া খ্যাতি। তখন হোয়াইট পেলে জিকো, সক্রেটিস ব্রাজিল দলের বিখ্যাত খেলোয়াড়। ফ্রান্সের খেলোয়ার প্লাতিনি, টিগানা এরা সব আছে। তখন আর্জেন্টিনার দল যে খুব ভাল ছিল তেমন নয়। ফাইনালে উঠবে বলে কেউ ভাবেনি। ওই দলে মারাদোনা নামে একজন খেলোয়ার ছিল। তাকে আমরা চিনতাম না। পরে খেলার মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম যে ওই বেঁটে ছেলেটি চার ফুট ১০ইঞ্চির ছেলেটি মুলত বাঁ পায়ের খেলোয়ার। আমরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলাটি দেখছিলাম।
মাথার সঙ্গে হাতটা একটু উঠিয়ে গোল দিয়ে দিল মারাদোনা। আর দ্বিতীয় গোলটি যা নিয়ে বিশ্বে এত হইচই পড়ে যাচ্ছে। চার পাঁচজন খেলোয়ারকে কাটিয়ে যা প্লেসিং তা না দেখলে বোঝানো মুশকিল। যা ওকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি দিল। হারিয়ে গেল জিকো, সক্রেতিস। তখন শুধুই মারাদোনা।
একটি খেলায় মারাদোনা একটি বল লেফট হাফের দিকে ধরল। টানতে টানতে ডান দিকে আসল। সব খেলোয়ারকে টেনে নিল। তারপর যে থ্রুটা দিল তাতে ডিফেন্ডার ফেল করল। গোল করে দিয়ে বেরিয়ে গেল। মারাদোনার গতিও ছিল সাংঘাতিক। মেসির ওই রকম স্কিল নেই। মেসিকে বিপক্ষদল আটকে দেয় কিন্তু মারাদোনাকে কেউ আটকাতে পারেনি। একটা রুমাল যা চওড়া তার মধ্যে থেকেই বল ঘোরাতে পারে এবং সেখান থেকে ভিড়ের মধ্যে বেরিয়ে যেতে পারে। এ আর তৈরি হবে না।