E-Paper

অনুমতির বালাই নেই, নির্মাণকাজ জলাশয় ঘেঁষেই

শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখার পালপাড়া রেলস্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্মের ধারে জলাশয় ঘেঁষে ওই কাফে তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

সৌমিত্র সিকদার

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৪
নির্মীয়মাণ কাফে। নিজস্ব চিত্র 

নির্মীয়মাণ কাফে। নিজস্ব চিত্র 

রাজ্য সরকার থেকে পুরসভা, কারও অনুমতির তোয়াক্কা না করে জলাশয়ের ধার ঘেঁষে কাফে তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে চাকদহে। যদিও সব জেনেও বুধবার পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখার পালপাড়া রেলস্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্মের ধারে জলাশয় ঘেঁষে ওই কাফে তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সেই জায়গার অনেকটাই নীল রঙের চট দিয়ে ঘেরা ফেলা হয়েছে। জমি এবং জলাশয়ের মধ্যেও খানিকটা জায়গা নিয়ে বাঁশ দিয়ে নির্মাণের কাজ করছেন কয়েক জন।

এই কাজের তদারক করছেন জানিয়ে পঙ্কজ সরকার নামে এক যুবক নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, “এই যে ১১ কাঠা জায়গা রয়েছে দেখছেন, এখানে বাঁশ দিয়ে কাফে তৈরি করা হবে। সেই কাজই শুরু হয়েছে। পাশে কচুরিপানা ভর্তি যে জলাশয় রয়েছে, সেটা পরিষ্কার করা হবে। সেখানে নৌকা চলবে। জলে হাঁস আর মাছ ছাড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।”

চটের ঘেরাটোপের আড়ালে কাজ হচ্ছে কেন? পঙ্কজের দাবি, “জমিটার চারদিকে ঝোপজঙ্গল, আবর্জনা রয়েছে। সে সব দেখতে খারাপ লাগছিল বলে একটা অংশ চট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।” নজরে পড়ে, এক পাশে রাখা কিছু কুয়োর পাট রাখা রয়েছে। পঙ্কজ বলেন, “এগুলো মোটেও জলে ফেলা হয়নি। এ সব দিয়ে বসার জায়গা করা হবে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”

জলাশয়ের কিনারে কাফে করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়েছে? জমিটি কার?

একটি ইন্টারনেট পোর্টালের সংবাদকর্মী হিসাবে পরিচিত উজ্জ্বল সরকার দাবি করেন, “এটা আমার স্ত্রীর জমি। এখানে ২৮ কাঠার একটা জলাশয় রয়েছে। আমরা জলে কিছু করছি না।” কার অনুমতি নিয়েছেন? উজ্জ্বলের দাবি, “আমি যত দূর জানি, বাঁশ দিয়ে কিছু করার জন্য পুরসভার অনুমতি লাগে না। সেই জন্য তাঁদের জানানো হয়নি।

চাকদহ পুরপ্রধান অমলেন্দু দাস বিষয়টি জেনে বলেন, “ওখানে কোনও কাজ হচ্ছে বলে কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী কিছু নির্মাণ করতে অনুমতি লাগে না ঠিকই। তবে ওখানে ওঁরা কী করছেন, সেটা আমাদের চিঠি দিয়ে জানাতে পারতেন। সে ক্ষেত্রে আমরা গিয়ে দেখে আসতাম।”

শুধু পুরসভা তো নয়, সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের অনুমতি চাওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি উজ্জ্বল। অথচ চাকদহের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক পুষ্পান্ন মণ্ডল বলছেন, “পুকুরের পাশে যে কোনও স্থায়ী অথবা অস্থায়ী নির্মাণকাজ করতে গেলে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ করা যায় না।”

এই বিষয়ে পুরসভা বা প্রশাসন কী পদক্ষেপ করে, সেটাই এখন দেখার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chakdaha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy