Advertisement
E-Paper

ভয় জয় করে  বাড়ল গ্রহীতা

প্রাথমিক জড়়তা বা ভয় কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন জেলার করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে সামগ্রিক ভাবে গ্রহিতার সংখ্যা বাড়়ল।

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:০৬
কৃষ্ণনগরে টিকা নিচ্ছেন এক চিকিৎসক। সোমবার।

কৃষ্ণনগরে টিকা নিচ্ছেন এক চিকিৎসক। সোমবার। নিজস্ব চিত্র।

প্রাথমিক জড়়তা বা ভয় কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন জেলার করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে সামগ্রিক ভাবে গ্রহিতার সংখ্যা বাড়়ল। একমাত্র ব্যতিক্রম করিমপুর। সেখানে শনিবারের তুলনায় গ্রহিতা অনেকটাই কমেছে। যার কারণ হিসাবে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্তারা টিকাপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত কোউইন সফ্টঅয়্যারের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তার জেরেই করিমপুরে গ্রহিতাদের নাম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চূড়়ান্ত করা যায়নি। আর নবদ্বীপ কেন্দ্রে প্রাপক বা গ্রহিতা একই রয়েছে। বাড়়েনি বা কমেনি। বাকি সব জায়গায় শনিবারের তুলনায় বেশি সংখ্যক গ্রহিতা মিলেছে। জেলা স্বাস্থ্যকর্তারাও কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।

প্রথম দিন কেন্দ্র-প্রতি একশো জনের তালিকা তৈরি করতেই হিমশিম খেতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। এর জন্য সফ্টঅয়্যারের ত্রুটি যেমন দায়ী ছিল তেমনই দায়ী ছিল মানুষের আশঙ্কা আর ভয়। অনেকে নাম লিখিয়েও শেষ মুহূর্তে অনুপস্থিত থেকেছেন। সোমবার সেই ভয় অনেকেই কাটাতে পেরেছেন। কারণ, প্রথম দিনের টিকা নিয়ে কারও শরীরে জেলায় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর মেলেনি।

সোমবারই জেলা সদর হাসপাতালের কেন্দ্রে এসে ভ্যাকসিন নিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার জেলা সদর হাসপাতাল ও রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে লক্ষ্যমাত্রা ১০০ জন ছাপিয়ে ১০৮ জন করে গ্রহিতা টিকা নিয়েছেন। তবে কোনও-কোনও হাসপাতালে ভ্যাকসিন দিতে এসে ‘তারিখ বিভ্রাটে’ টিকা না-নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে বেশ কয়েক জনকে। যেমন, বিষ্ণুপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে ফিরে যেতে হয়েছে ১৫ জনকে। হাসপাতাল

সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ১৫ জনের নাম ছিল না পোর্টালে। নাম সফ্টঅয়্যারে আপলোড করতে গিয়েই ‘টেকনিক্যাল’ সমস্যা হয়েছে।

চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এ দিন ৫৪ জন টিকা নিয়েছেন। গত শনিবার সেখানে ২৯ জন টিকা নিয়েছিলেন। ওই হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রানী ঘোষ-সহ বেশ কিছু চিকিৎসক,স্বা স্থ্য কর্মী, চাকদহ পুরসভার স্বাস্থ্য র্মীরা টিকা নিয়েছেন।

কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সোমবার ৮৫ জনের টিকা নেওয়ার কথা চিল। নিয়েছেন ৭১ জন। নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ৫০ জন টিকা নিয়েছেন। নাম ছিল ১২০ জনের। এসেছিলন ৫২ জন। তাঁদের এক জন গর্ভবতী হওয়ায় এবং এক জনের ড্রাগ অ্যালার্জি থাকায় টিকা দেওয়া যায়নি।

করিমপুর হাসপাতালে মোট চৌষট্টি জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সুপার মণীষা মণ্ডল জানান, শনিবার একশো জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সে দিন আশি জনকে টিকা দেওয়া হয়। সে দিনের বাকি কুড়ি জন ও সোমবার নতুন চৌষট্টি জন-সহ মোট পঁচাশি জনের নামের তালিকা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চৌষট্টি জন টিকা নিয়েছেন।

Corona Coronavirus in West Bengal COVID-19 Vaccine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy