রানাঘাট-কাণ্ডে ধৃতদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার আইজিকে (কারা) ওই নির্দেশ দেন রানাঘাটের এসিজেএম শুভঙ্কর বসু। এ দিনও, শুধু সেলিম শেখ ও গোপাল সরকারকে আদালতে হাজির করেছিল সিআইডি। মিলন সরকার, ওহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, খালেদার রহমান মিন্টু ওরফে ফারুক এবং নজরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
দিন কয়েক আগে নজরুল ইসলাম, মিলন সরকার এবং অহিদুল ইসলাম ওরফে বাবুর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির উদ্দেশে বলপ্রয়োগ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপরাধের প্ররোচনা দেওয়া-সহ নানা ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ রানাঘাটের একটি কনভেন্টে ডাকাতি ও বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েক জনের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে। এর আগে গত ২২ জুন নজরুল ইসলাম বাদে বাকি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি।
ধৃতদের আইনজীবী বাসুদের মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসামীদের আদালতে হাজির করা ব্যাপারে গড়িমসি করছিল সিআইডি। ফলে বিচারে দেরি হচ্ছিল। বিষয়টি আদালতকে আগেই জানিয়েছিলাম। আমার মনে হয় দেরি করানোর জন্যই সবাইকে এক সঙ্গে হাজির করা হচ্ছিল না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আশা করছি শীঘ্রই এই মামলার বিচার শুরু হবে।’’
সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপকুমার প্রামাণিক বলেন, ‘‘গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই সাপ্লিমেন্ট চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর আগে নজরুল ইসলাম বাদে বাকি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, মিলন সরকার এবং ওহিদুল ইসলাম আরও কিছু অপরাধ করেছে, সেই কারণে এই সাপ্লিমেন্ট নজরুল ইসলামের সঙ্গে চার্জশিটে তাদেরও নাম রাখা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অন্য আসামীদের অন্যান্য মামলা থাকায় হাজির করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিচারক ধৃত সকলকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy