E-Paper

অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে কারা, শুরু তদন্ত

সীমান্তবর্তী এলাকা অতিক্রম করে ওই বাংলাদেশিরা মুর্শিদাবাদ হয়ে চেন্নাইয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে পুলিশ জানতে পারে।

মনোদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৫১
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ থানার স্টেশন রোড এলাকা থেকে চার জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ সামাদ, জেনারুল শেখ, সজিব ইকবাল এবং নবাব শরিফ। তাদের কাছ থেকে বৈধ কোনও কাগজপত্র পায়নি পুলিশ বলে জানায়। তবে ধৃতদের থেকে তিনটি মোবাইল ফোন এবং দু’টি ভারতীয় জাল আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক। ধৃতরা জাল আধার কার্ড কোথা থেকে পেল এবং কার মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সীমান্তবর্তী এলাকা অতিক্রম করে ওই বাংলাদেশিরা মুর্শিদাবাদ হয়ে চেন্নাইয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ জানায় ধৃতরা রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে মুর্শিদাবাদ থানার গৌরীবাগ ব্রিজের কাছ থেকেও কয়েক জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘এমন প্রচুর বাংলাদেশি মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে রয়েছে। যারা আমাদের জেলায় ও রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে প্রবেশ করেছে। আমরা বার বার অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর জন্য বলেছি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতিবার বিএসএফের দিকে আঙুল তুলছে। আজকে যদি তারকাঁটার বেড়া থাকত সীমান্তে তা হলে বিএসএফের দিকে আঙুল তুলতে হত না। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারকে তারকাঁটা বেড়া দেওয়ার জন্য জায়গা দিচ্ছে না। তাই আজ অবাধে অনুপ্রবেশ ঘটছে। এর ফলে মুর্শিদাবাদের মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। মুর্শিদাবাদের মানুষকে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। যদি, রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারকে সহায়তা করত তা হলে এই অনুপ্রবেশ ঘটত না। তবে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ ভাল কাজ করেছে।’’

মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ‘‘সীমান্তবর্তী এলাকা হয়েই বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশ করছে। আমাদের রাজ্যের পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলেই অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গৌরীশঙ্কর ঘোষ রাজনীতি করছেন সব বিষয় নিয়ে।’’ মুর্শিদাবাদ থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি ওই চার বাংলাদেশি লালগোলা সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তারপর সড়ক পথে তারা মুর্শিদাবাদ শহরে আসে। এখান থেকে ট্রেন ধরে চেন্নাই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওদের। আধার কার্ড তারা কোথা থেকে পেল তারও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত শুরু করেছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

lalbagh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy