বড় ম্যাচে বড়সড় বিভ্রাট। ম্যাচ চলাকালীন একাধিকবার মুখ থুবড়ে পড়ল কল্যাণী স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের গ্যালারিতে বা মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে গ্যালারি সংলগ্ন ফ্লাড লাইটটিতে দেখা দেয় বিভ্রাট। ম্যাচে মোহনবাগানের হারের পর যেন সেটাই প্রতীকি বলে মনে হচ্ছিল সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। তবে হার-জিৎ নয়, শহরে প্রথম ডার্বির মেজাজেই মশগুল কল্যাণী।
মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বিতে শেষ হাসি হাসল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারায় তারা। লিগ টেবিলে মোহনবাগানের পিছনে থাকা সত্ত্বেও, ডার্বি জয় লাল-হলুদ সমর্থকদের সেই অস্বস্তি ভুলিয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় শহর। রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার আশীষ মৌর্য তদারকিতে নামেন। স্টেডিয়াম এবং আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। এবারই প্রথম কল্যাণী স্টেডিয়ামে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা চালু হল। প্রতি টিকিটে কিউআর কোড ছিল। দর্শকদের ফোনে থাকা সেই কোড স্ক্যান করেই মাঠে প্রবেশ করানো হয়। ফলে মাঠে ঢোকার সময় ভিড় বা বিশৃঙ্খলা এড়ানো গিয়েছে। স্টেডিয়ামের একেবারে পাশেই রয়েছে মহকুমা প্রশাসনিক দফতর। কাছেই ইএসআই হাসপাতাল এবং জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। তাই ম্যাচের দিনে শহরে জরুরি পরিষেবা সচল রাখা ছিল পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। অ্যাম্বুল্যান্স চলাচল যেন বন্ধ না হয়, তার জন্য বিশেষ ট্র্যাফিকের ব্যবস্থা ছিল।
দুপুর থেকেই শহরে ভিড় বাড়তে শুরু করে। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা পতাকা, ব্যানার ও ঢাক বাজিয়ে মিছিল করে কল্যাণীর বিভিন্ন রাস্তায় জমায়েত হতে থাকেন। শহরবাসীর বক্তব্য, “কল্যাণীতে এই প্রথম ডার্বিকে ঘিরে এমন উন্মাদনা আগে কখনও দেখিনি।” সূত্রের খবর, প্রায় দশ হাজার দর্শককে মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দুই দলের সমর্থকদের জন্য আলাদা বসার জায়গা এবং গেট নির্ধারণ করা ছিল। স্টেডিয়ামের চারপাশে ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ, মেডিক্যাল টিম এবং অ্যাম্বুল্যান্স।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)