জেএনএমের মেডিসিন ফিমেল ওয়ার্ড। নদিয়ার কল্যাণী। ছবি: অমিত মণ্ডল।
জ্বর ও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর চাপ বাড়লেও এখনও কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের মতে, জ্বর ও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে রোগীর চাপ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফিভার ক্লিনিক চালু হলে জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের সুবিধা হবে।
ইতিমধ্যেই নদিয়া জেলায় ডেঙ্গিতে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ নদিয়ায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরও হাসপাতালগুলিতে ২৪ ঘণ্টা ফিভার ক্লিনিক চালু করার কথা ভাবছে। অথচ জেএনএমে নদিয়া ছাড়াও পাশের হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে সরাসরি বা হাসপাতাল থেকে রোগীরা স্থানান্তরিত হয়ে আসছে। তা সত্ত্বেও এখনও ফিভার ক্লিনিক চালু না হওয়ায় বিস্মিত চিকিৎসকদেরই একাংশ।
সোমবার জেএনএম হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিসিনের পুরুষ ও মহিলা বিভাগে রোগীর চাপ রয়েছে। কোনও কোনও শয্যায় দু’জন করেও রোগী রয়েছেন। ডেঙ্গি রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে মশারির মধ্যে রাখা হলেও জ্বরের রোগীদের অন্য রোগীদের সঙ্গেই মশারির মধ্যে একই ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ডেঙ্গির রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তবেই তাঁদের আলাদা ওয়ার্ডে সরানো হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীর চাপ বাড়লেও এখনও ‘ঠাঁই নাই’ অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে পরিস্থিতি যা তাতে আরও শয্যার প্রয়োজন রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ফিভার ক্লিনিক চালু থাকলে জ্বরের রোগীদের আউটডোরে অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। সরাসরি ওই ক্লিনিকেই তাঁরা দেখাতে পারবেন। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের পরীক্ষাও তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
তবে জেএনএম কর্তৃপক্ষের দাবি, ফিভার ক্লিনিক চালু করার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। তা ছাড়া তা চালু করতে গেলে আলাদা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন। এখনই সেই ব্যবস্থা করতে গেলে আরও জটিলতা তৈরি হবে। জেএনএম হাসপাতালের সুপার সৌম্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আরও দু’এক দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজন হলে ফিভার ক্লিনিক চালু করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy