চওড়া খোলা মাঠ ঘিরে কবেকার সব রেন-ট্রি। দূরের নবাবি শহরের পুরনো আবাসের ছায়া ছড়িয়েছে মাঠে। আর, সে মাঠ ঘিরে, অ্যাসফাল্টের চকচকে রাস্তায় হু-হু করে ছুটছে গাড়ির ঝাঁক।
সেই ব্যস্ততার ফাঁক গলে সন্ধে-ভোরে পুরনো অবসর খুঁজে বয়স্ক মানুষের ভিড়। ছুটন্ত বাইক কিংবা গাড়ির যাতায়াতে অস্বস্তি আর ভয়ে নিয়ে ওঁদের সান্ধ্য-প্রাতঃ ভ্রমণ।
বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়্যার ময়দান ঘিরে চেনা চেহারাটাই এ বার বদলে যেতে চলেছে। ব্যারাক স্কোয়ারের কোল ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে জগিং-ট্র্যাক। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠের রেলিংয়ের পাশ দিয়ে তৈরি হবে ১২০০ মিটার ওই ট্র্যাক। ৮ ফুট কংক্রিটের জগিং ট্র্যাকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বরাদ্দ প্রায় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। জেলা পূর্ত দফতর তার টেন্ডারও ডেকেছে।
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) এনাউর রহমান বলছেন, “সকাল-বিকেল যাঁরা হাঁটেন, তাঁদের সুবিধার জন্য ব্যারাক স্কোয়ারের ওই জগিং ট্র্যাকের পরিকল্পনা। আশা করছি, হাঁটাচলায় সুবিধা হবে ওঁদের।’’ ব্যারাক স্কোয়ার হল হল বহরমপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র। শরীর ঠিক রাখতে শহরের বহু লোক সকাল-সন্ধ্যায় সে মাঠে আসেন।
শহরের ওল্ড পুলিশ লাইন রোডের বাসিন্দা বছর চল্লিশের ফাসিহুল আকবর বলছেন, “ওই এলাকায় গাড়ি চলাচলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে রাশ টানায় উপকার হয়েছিল ঠিকই। তবে বয়স্কদের সমস্যাটা মিটছিল না। এ বার নিশ্চিন্তে হাঁটব।’’
ওল্ড পুলিশ লাইন রোডের বাসিন্দা রুমানা ইয়াসমিন বলছেন, ‘‘অনেক সময় ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল শুরু করে। ফলে ওই রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণ করা অসুবিধা হত। মনে হয় সে সমস্যা মিটতে চলেছে।’’