আদালতের পথে নিত্যানন্দ দাস। শনিবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র
আশাবরী আবাসনের হত্যাকাণ্ডের শুনানি ছিল শনিবার। জেলা দায়রা বিচারক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্ত নিত্যানন্দ দাসকে জানতে চান, ‘কালসর্প’দোষটা ঠিক কী? নিত্যানন্দ জানান, রাহু, কেতু এক দিকে। অন্য দিকে শুক্র থাকলে তাকে ‘কালসর্প’ যোগ বলা হয়। বিচারক জানতে চান, কী ধরনের যজ্ঞ করলে কালসর্প দোষ কাটানো যেতে পারে? উত্তরে নিত্যানন্দ জানান, সে অনেক ধরনের হতে পারে। বিচারক জানতে চান, নিহত আত্রেয়ী বসুর কী ধরনের কালসর্প যোগ ছিল?
করজোড়ে নিত্যানন্দ বলেন, ‘‘কী করে বলব বলুন! আমি তো স্পটে ছিলাম না।’’ বিচারক জানতে চান নিত্যানন্দ সনাতন না কৃষ্ণমূর্তি, কোন জ্যোতিষ ‘ফলো’ করেন। উত্তরে নিত্যানন্দ জানান, তিনি সনাতন পদ্ধতি ‘ফলো’ করেন। বিচারক ফের জানতে চান, নিহত আত্রেয়ী বসুর তো রাজযোগ ছিল। তা হলে কী করে তার কালসর্প দোষ ছিল বলা যায়? উত্তরে নিত্যানন্দ জানান, তিনি বই পড়ে কালসর্প দোষ সম্পর্কে জেনেছেন। কবচ, যজ্ঞ করে দোষ কাটানো যায়। তবে পরক্ষণেই তিনি হাতজোড় করে বলে ওঠেন, ‘‘তবে আমি এই খুনের ব্যাপারে কিছুই জানি না।’’
আরও পড়ুন: এ রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা মায়ের সংখ্যা, বলছে সমীক্ষা
এ ভাবে শনিবার আশাবরী আবাসনের তিন মহিলা খুনের মামলায় তিন ঘণ্টা ধরে অভিযুক্ত নিত্যানন্দকে ২৬ জন সাক্ষীর বয়ান ধরে ধরে বিচারক একাধিক প্রশ্ন জানতে চান। তবে নিত্যানন্দ বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর ‘কিছু জানি না’ বা ‘পুলিশের সাজানো’ বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy