মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলাকালীন প্রসবযন্ত্রণা! স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রীকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার সেই হাসপাতালের শয্যায় বসেই পরীক্ষা দিলেন ওই ছাত্রী।
সোমবার মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা ছিল। মুর্শিদাবাদের কান্দির রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সে কান্দির বাঘডাঙা রামেন্দ্র সুন্দর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এর পর কান্দি থানার পুলিশ এবং প্রশাসনের তৎপরতায় ওই ছাত্রীকে ভর্তি করানো হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। পরে ওই হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিল ওই ছাত্রী।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘’১০ মাস আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। পরীক্ষা দিতে গিয়ে যন্ত্রণা হচ্ছিল। স্কুলকে বলা হল। পুলিশ এসে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিল মেয়ে। এখন সুস্থ আছে। আমি মেয়ের সঙ্গে এসেছি।’’
এত কম বয়সে কেন মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হল? মায়ের জবাব, ‘‘বাড়িতে দেখাশোনার কেউ নেই। টাকাপয়সার অভাব। তাই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’
মুর্শিদাবাদে নাবালিকা বিয়ে নতুন কিছু নয়। যে বয়সে মেয়েদের বইয়ের ব্যাগ কাঁধে করে বিদ্যালয় যাওয়ার কথা, সেই বয়সের মেয়েদের অভিভাবকেরা বিয়ে দিচ্ছেন। যার জেরে মুর্শিদাবাদের একটি বড় অংশের ছাত্রীরা নাবালিকা বয়সে মা হয়ে পড়ছে। বারে বারে সেই চিত্র উঠেছে মুর্শিদাবাদের আনাচ কানাচে।
এত নাবালিকার বিয়ে হলেও আটকানো হচ্ছে না কেন? প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এটা সামাজিক ব্যাধি। তা আটকাতে লাগাতার সচেতন করা হচ্ছে। আলোচনা, সচেতন করা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।