Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
BJP

পদ্ম পাতায় আশ্রয় খুঁজছে ‘রায় দম্পতি’

বছর শেষের দু’দিন আগে চমক দিয়ে প্রগতিশীলতার তকমা মুছে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন কান্দির রায় দম্পতি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিদ্যুৎ মৈত্র
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:১৬
Share: Save:

রাজ্যের প্রবল বামবিরোধী হাওয়াও টলাতে পারেনি কান্দির ‘দাদা-বৌদি’কে। ১৯৯৫ সাল থেকে রাজনীতির ময়দানে একা একা লড়াই করে দাদা দেবজ্যোতি রায় কান্দির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দু’বার এবং বৌদি সান্ত্বনা রায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনবার কাউন্সিলর ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। সেই সময় থেকে তাঁর অবশ্য নির্দিষ্ট কোন দলীয় প্রতীক ছিল না। তিনি ছিলেন পুরভোটে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। বছর শেষের দু’দিন আগে চমক দিয়ে প্রগতিশীলতার তকমা মুছে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন রায় দম্পত্তি। কলকাতায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে গেরুয়া উত্তরীয় চাপিয়ে ফিরলেন কান্দিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

বললেন, “বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন শুধু বদল নয় বদলাও চাই ক্ষমতা পেলে। ওই কথাতেই ভরসা পেলাম।” তবে তিনি বদলের থেকেও বদলাতেই ভরসা পেয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।

কান্দি পুরসভার এই প্রাক্তন দুই কাউন্সিলর বরাবর কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব সরকারের বিরোধী বলেই পরিচিত। কখনও প্রকাশ্যে কখনও আড়ালে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে দেবজ্যোতির অপহরণ কাণ্ড নিয়ে শোরগোল পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সদ্য ফেলে আসা বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি কান্দি থেকে ছুটে এসেছিলেন এই দুই দম্পত্তি, সাংবাদিক সম্মেলন করে কান্দি পুরসভার প্রশাসক অপূর্বর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, “কান্দিতে তাঁদের সুরক্ষা নেই।” এদিন দেবজ্যোতি বলেন, “ যাঁরা আজ আমাদের ভরসায় বাম মনোভাবাপন্ন হয়েছিলেন তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার লোক নেই কান্দিতে।” তাঁর অভিযোগ “বামেরা প্রকারন্তরে তৃণমূলের দালালি করে।” বামপন্থায় বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও বিজেপির সঙ্গে তাঁর বেশ কয়েকমাস ধরেই যোগাযোগ চলছিল বলে অবশ্য জানান কান্দির বিজেপি বিরোধীরা। বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে দেবজ্যোতি বলেন, “আমার জনগোষ্ঠীকে গুন্ডাদের হাত থেকে রক্ষা করা, তাদের পুলিশের জুলুম থেকে বাঁচানো আমার কর্তব্য।” ওঁরা জানান, এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেবজ্যোতি বলেন, “আমাদের অপরাধ কোথায়। আমরা তো স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম।” যাঁরা এইভাবে বাঁচতে বাধ্য করছে মানুষ হিসাবে বদলা নেওয়াটো দরকার বলেই জানান কান্দির ‘তৃপ্তি দা’। যাঁর বিরুদ্ধে তাঁর এত ক্ষোভ সেই অপূর্ব সরকার বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে আছে বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নৃপেন চৌধুরী বলেন, “এরা কখন কোথায় যাবে তা ঠিক নেই। বলার কিছু নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Left kandi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE