এক সাজাপ্রাপ্ত। নিজস্ব চিত্র
বিচার চলাকালীন পুলিশের চোখে লাল মাজন ছিটিয়ে কোর্ট চত্বর থেকে পালিয়েছিল ছয় বন্দি। ডাকাতি ও খুনের দায়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (চতুর্থ) আদালত। বিচারক মনোজকুমার শর্মা বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সাজাপ্রাপ্তেরা হল চাপড়ার হাতিশালার আকবত মল্লিক, মহেশনগরের সোনা মল্লিক, বাবর আলি শেখ, জিব্রাইল শেখ, সাহাবুদ্দিন শেখ এবং নাকাশিপাড়ার জিন্নাত শেখ। ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ এজলাস থেকে কোর্ট হাজতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশকর্মীদের চোখে লাল মাজন ছিটিয়ে তারা পালিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের চেষ্টায় আবার কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়া এলাকা থেকে ধরা পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ১০ অগস্ট গভীর রাতে দশ-পনেরো জনের একটি দল হানা দিয়েছিল চাপড়ার হাতিশালার খাজের শেখের বাড়িতে। তার আগে তাঁর প্রতিবেশী রুপচাঁদ শেখ, ইনসান শেখ ও বকসো শেখের বাড়িতে হানা দিয়েও লুঠপাট চালায় তারা। শেষে হাজির হয় খাজের শেখের বাড়িতে। ঘরে ঢুকে লুঠপাট করে বেড়িয়ে যাওয়ার সময়ে খাজের বাধা দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী পরেশ পাল বলেন, “এক জন হাঁসুয়া নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয়। খাজের সেই হাঁসুয়া কেড়ে নিয়ে আকবত মল্লিকের উপরে কোপ মারে। কিন্তু অন্য এক দুষ্কৃতী তাঁর পেটে হাঁসুয়ার কোপ মারে। তার পর ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।”
খাজেরকে সঙ্গে-সঙ্গে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। পরের দিন চাপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই গ্রামেরই আকবত মল্লিকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তদন্তকারীরা তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায়, সে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। জেরায় সে আরও ছ’জনের নাম করে। তার মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। এক জন এখনও অধরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy