E-Paper

ধর্ষণে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বেলে বিক্ষোভ

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। নির্যাতিতা তরুণী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের দাবি, চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন এলাকার এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৭
রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র Mofidul Islam

এক তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে, রাস্তায় টায়ার জ্বেলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। মঙ্গলবার দুপুরে বেলডাঙা-রাধানগর ঘাট রাজ্য সড়কের উপর আমতলা এলাকায় ওই অবরোধ করে রাস্তায় আগুন জ্বালানো হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। নির্যাতিতা তরুণী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের দাবি, চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন এলাকার এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তিনি চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ওই তরুণীকে কাগজপত্র নিয়ে তার বাড়িতে আসতে বলেন। অভিযোগ, বেলা পাঁচটার দিকে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তরুণী গেলেও তরুণী ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকেরা মোবাইলে ফোন করলে তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল।

নির্যাতিতার বাবার দাবি, অভিযুক্তকে মেয়ে কোথায় জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান কাগজপত্র দিয়ে তিনি চলে গিয়েছেন। শনিবার সকালে নির্যাতিতা চুপিসাড়ে তাঁর বাড়িতে ফোন করে জানান ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তাঁকে আটকে রেখে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রাতভর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশে খবর দিলে শনিবার সকালে পুলিশ ও স্থানীয়রা ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। তরুণীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই তরুণী বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “চাকরি দেওয়ার নামে কাগজপত্র নিয়ে ডাকার পর ওইদিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোবাইল
ফোন কেড়ে নিয়ে রাতভর মেয়ের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা ওর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।” স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ ওই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও কঠোর শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বেলে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে সিআই সদর প্রসেনজিৎ দত্তের নেতৃত্ব বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “ঘটনার দিনই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন। তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া সহ বাকি প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে করা হচ্ছে। যথাযথ পদক্ষেপ
করা হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Beldanga

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy