স্নেহের হাত। কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
তাঁর অনুগামীরা কার্যত বিদ্রোহ করেছিলন দল তাঁকে বাদ দিয়ে কল্যাণ চৌবেকে টিকিট দেওয়ায়। নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা নেবেন না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। এমনও কানাঘুষো চলছিল যে, টিকিট না পেয়ে জলুবাবু নিজেও বেজায় অসন্তুষ্ট। আর সেটা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তা হলে অঙ্কটাও যে শক্ত হয়ে যাবে তা বুঝতে পারছিলেন বিজেপি নেতারা।
বুধবার দলীয় কার্যালয়ে প্রার্থীর পাশে সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবুকে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আপাতত জট কাটাল বিজেপি। এবং জলুবাবু দাবি করলেন, টিকিট না পেয়ে তিনি অসন্তুষ্ট নন। তিনি বরং মনে করছেন, প্রার্থী হিসাবে কল্যাণ চৌবে যথেষ্ট যোগ্য। প্রার্থী বা দল চাইলে তিনি প্রচারে বেরোতেও রাজি।
সাতাশি ছোঁয়া প্রবীণ নেতার কথায়, “আমি চিরকাল আমি থাকব না। নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসবে। আমি হৃদয়ের বার্তা দিচ্ছি যে আমাদের প্রার্থী যেন জেতে।” সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “আশা করছি, আমার অনুগামীরা দলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।” সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রার্থীর ঢালাও প্রশংসাও করেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে জলুবাবু যে একটা ‘ফ্যাক্টর’ তা ভাল ভাবেই জানেন কল্যাণ চৌবে। জলুবাবুর অনুগামীরা যে অন্য প্রার্থী মেনে নেবেন না সেই খবরও পৌঁছেছিল তাঁর কাছে। নাম ঘোষণা হতেই তিনি কলকাতায় জলুবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন। মঙ্গলবারও প্রচারের ফাঁকে তিনি কালীগঞ্জের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁকে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রার্থীকে ‘আশীর্বাদ’ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। জলুবাবু তা ফেরাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy