Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Communal harmony

Durga Puja 2021: পুজোর কাজে হাত লাগান আলতাব, ইশাদেরাও

স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সকলে একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। হাত লাগান পুজোর প্রস্তুতির কাজেও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পলাশিপাড়া  শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৩
Share: Save:

পলাশিপাড়ার অভিযাত্রী ক্লাব। দুর্গাপুজোর ভিটে তৈরি থেকে প্যান্ডেলের দেখভাল— সব কিছুই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাকি সদস্যদের সঙ্গে করে চলেছেন জামাল, আলতাব, ইশাদেরা।

তেহট্ট মহকুমার বড় বাজেটের পুজোর মধ্যে এই ক্লাবের পুজোও নামও আসে। বড় বাজেটের প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, থিম দেখার পাশাপাশি সম্প্রীতির বাতাবরণকে নিজের চোখে দেখতেই পুজোর ক’টা দিন সকাল-বিকেল, সন্ধ্যা-রাত সেখানে ভিড় জমান আশেপাশের গ্রামের একাধিক দর্শনার্থীরা। আর সেখানে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সকলে একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। হাত লাগান পুজোর প্রস্তুতির কাজেও।

পলাশিপাড়ার জিটি স্কুল মাঠে প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও সতেরোতম পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। ১৩ লক্ষ টাকার বাজেটের এই পুজোর থিম ‘নাগাল্যান্ড’।

গত বছর এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ১২২ জন। কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশে এই বছর হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে কমিটিতে যোগ দিয়েছেন অনেকে। বর্তমান সদস্য ১৩৮ জন।

সদ্য এই পুজো কমিটিতে এসেছেন ইশাদ শেখ, জামাল শেখ। তাঁরা বলেন, “খুঁটিপুজো থেকে অঞ্জলি, প্রসাদ গ্রহণ ও বিতরণ, প্রতিমা নিরঞ্জন— সব কিছুতেই সমান ভাবে সমস্ত ধর্মের সদস্যরা একই ভাবে কাজ করেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই এই কমিটিতে এসে আমরাও দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে হাত লাগিয়েছি।”

আলতাব হোসেন বলেন, “ধর্ম তো মানবধর্ম। সেই কথা মাথায় রেখেই সবাই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছি।”

এই কমিটির আরেক সদস্য রনি দাস বলেন, “যে কোনও কাজেই ক্লাবের সদস্যেরা সদর্থক ভূমিকা নিয়েই এগিয়ে যায়। সেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ মানা হয় না।”

আর পুজো কমিটির সভাপতি সুদীপ্ত মণ্ডল বলছেন, “সম্প্রীতি মানুষের মানুষের মধ্যে তৈরি করে বিশ্বাস। এই পুজো তার উদাহরণ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Communal harmony Durga Puja 2021
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE