মেয়েদের স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে অশালীন আচরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল প্রৌঢ়কে। অভিযোগ, স্কুলে যাতায়াতের পথে তিনি ছাত্রীদের উদ্দেশ করে নানারকম অশ্লীল ইঙ্গিত করতেন। এমনকি, যৌনাঙ্গ প্রদর্শনের অভিযোগও রয়েছে। অনেক ছাত্রীকে কটূক্তিও করেছেন অভিযুক্ত। এর আগে একাধিক বার স্থানীয়েরা তাঁর আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু প্রৌঢ়কে দমানো যায়নি। বৃহস্পতিবার তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়েরা পুলিশ ডাকেন। পুলিশ আসার আগে প্রৌঢ়কে কান ধরে ওঠবস করতেও বাধ্য করা হয়।
অভিযুক্তের নাম সঞ্জয় বিশ্বাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁর বয়স ৫০-এর বেশি। নদিয়ার কৃষ্ণনগর শহরের একটি নামী স্কুলের সামনে সকাল-বিকেল তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত। স্কুলটি মেয়েদের। অভিযোগ, প্রায়ই ছাত্রীদের উদ্দেশে কটূক্তি করতেন তিনি। আসা-যাওয়ার পথে তাদের হেনস্থা করতেন। প্রতিবাদ করলে অশালীন ইঙ্গিত করতেন। বৃহস্পতিবার দুই ছাত্রী এবং এক শিক্ষিকাকে তিনি যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ। এতে স্থানীয়েরা ক্ষুব্ধ হন। তাড়া করে ধরে ফেলেন প্রৌঢ়কে। তার পর প্রকাশ্যে তাঁকে কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করা হয়।
আরও পড়ুন:
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। প্রথমে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার প্রৌঢ়কে আদালতে হাজির করানো হতে পারে। সূত্রের খবর, জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। ক্ষমাও চেয়েছেন।