কর্মসূত্রে স্বামী থাকেন ভিন্দেশে। নদিয়ার করিমপুরে দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার সামলান চল্লিশোর্ধ্ব স্ত্রী। সেই বধূ হুড়মুড়িয়ে পড়েছেন ১৬ বছরের তরুণের প্রেমে। প্রতি রাতেই ফোনালাপ হত তাঁদের। কিন্তু ‘বিপদ’ হল দুবাই থেকে হঠাৎ স্বামী ফিরে আসায়। স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে তাঁর হাত ধরে সোজা নাবালকের বাড়িতে উপস্থিত হলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই সন্তান। স্ত্রীর প্রেমিককে দেখামাত্রই তাদের বিয়ে করে নেওয়ার প্রস্তাব দেন যুবক। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় তখন চমকে গিয়েছে প্রেমিক। শেষমেশ ক্ষমা চেয়ে প্রেমিকা এবং প্রেমকে বিদায় জানিয়েছে সে।
কিছু দিন আগে সমাজমাধ্যমে এক জনের সঙ্গে পরিচয় হয় বছর একচল্লিশের রিম্পা সাহার (নাম পরিবর্তিত)। সমাজমাধ্যমেই ফোন নম্বর বিনিময় হয় দু’জনের। অল্প দিনের কথাবার্তায় চল্লিশোর্ধ্ব বিবাহিতার সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ১৬ বছরের সাগর (নাম পরিবর্তিত)। প্রতি রাতে ফোনে নিয়মিত কথাবার্তা হত তাঁদের। প্রেম দৌড়চ্ছিল। হঠাৎ থমকে গেল বৃহস্পতিবার রাতে দুবাই থেকে ওই মহিলার স্বামী বাড়ি ফেরায়।
রিম্পার কাছে আগে থেকে খবর ছিল না যে, স্বামী বিদেশ থেকে ফিরবেন। অভ্যাসবশত প্রেমিকও তাঁকে রাতে ফোন করে। প্রায় ২২ মিনিটের প্রেমালাপের পরে ফোনের উল্টো দিক থেকে পুরুষকণ্ঠ পেয়ে চমকে যায় সেই তরুণ। তার আগে প্রেমিকার সঙ্গে কবে দেখা করবে, সে নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করে ফেলেছে সে। তাড়াতাড়ি দেখা করার আকুতি জানিয়েছে প্রেমিকাকে। হঠাৎ ছন্দপতন। উল্টো দিক থেকে ছেলেটি পুরুষকণ্ঠে শুনতে পায়, ‘‘তাড়াতাড়ি বিয়েটা করে নাও।’’ তড়িঘড়ি ফোন রেখে দেয় প্রেমিক।
সাগর পরের দিন সকালে দেখে ‘দুয়ারে প্রেমিকা’। সঙ্গে প্রেমিকার দুই সন্তান এবং স্বামী। ফাঁপরে পড়ে যায় সে। বাড়িতে জানাজানি হলে কী কাণ্ড হবে ভেবে ঘামতে থাকে ছেলেটি। অন্য দিকে, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সোজা ছেলেটির বাড়ির লোকজনের কাছে চলে যান যুবক। শুরু হয় হইচই। শুক্রবারেই সমস্যার সমাধানে গ্রাম্য সালিশিসভা হয়। সেখানে ছেলেটি কথা দেয়, আর কখনও সে ফোন করবে না ওই মহিলাকে।
আরও পড়ুন:
তবে এখানেই শেষ নয়। স্বামীর এমন ‘বাড়াবাড়ি’ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, জেনেশুনে তাঁকে অপদস্থ করেছেন স্বামী। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে আমার সম্মানহানি করার কী মানে বুঝতে পারলাম না। বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলল ও। বাচ্চা ছেলে ভুল করতেই পারে।’’ পাল্টা স্বামীর অভিযোগ, তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ‘ছেলের বয়সি’ এক জনের সঙ্গে প্রেম করছিলেন স্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলেটিও দেখলাম আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য পাগল। আমার মনে হল, আমার স্ত্রীর সঙ্গে ওর বিয়ে দেওয়াই উচিত। তাই ওকে ছেলেটির বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন বৌ কেন এ সব বলছে, বুঝতে পারছি না।’’ সব মিলিয়ে দাম্পত্য কলহ তীব্র। অন্য দিকে, সেই তরুণ জানিয়েছে, দু’-এক দিন একটু গল্প করেছিল সে। সে জন্য বিয়ে করতে হবে?