বাহারি-চা। জিয়াগঞ্জের একটি দোকানে। নিজস্ব চিত্র
ঝুপ করে নামছে শীতের সন্ধ্যা। আর তার পরেই বাড়ছে মোটরবাইকের দাপট! হু-হু করে বাড়ছে ভিড়ও! শুধুই চায়ের টানে! কেউ পছন্দ করেন ‘ক্রিম চা’। কারও পছন্দ ‘চকোলেট চা’।
জিয়াগঞ্জের বাগডহর মোড় হোক অথবা আমাইপাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে ক্রিম চা, চকোলেট চা খাওয়ার জন্য সন্ধ্যা নামতেই ভিড় বাড়াচ্ছেন বহিরাগতেরা। ‘তোর জন্য লোকাল চা অর্ডার দেব?’, প্রশ্ন করলেই জবাব আসছে — ‘লোকাল খেতে হলে তো লালগোলায় বসেই খেতে পারতাম। তেল পুড়িয়ে এত দূর এলাম কেন?’
বাহারি চায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রয়েছে রকমারি ভাঁড়ও। কোনওটা দেখতে হুবহু ঘড়ার মতো, কোনওটা আবার ঘটির মতো। আরও একটা আছে— স্পেশ্যাল ভাঁড়। ছোট ভাঁড়ে চা খেলে দশ। বড় ভাঁড়ে খেলে কুড়ি টাকা।
বেশ মাস কয়েক আগেও চায়ের দোকানে খদ্দের টানতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলত টিভি। সিনেমা দেখতে দেখতে উবে যেত ভাঁড়ের পর ভাঁড চা। তবে বর্তমানে জিয়াগঞ্জের বাগডহর বা আমাইপাড়ার চায়ের দোকানগুলিতে খদ্দের টানতে টিভি লাগে না। বাহারি চায়ের টানেই খদ্দের ছুটে আসছেন দূর-দূরান্ত থেকে। আর সেই চায়ে শ্রী ফিরেছে জিয়াগঞ্জের বেশ কয়েকটি দোকানে। আমাইপাড়ার এক চায়ের দোকান মালিক মান্তু দাস বলছেন, ‘‘এখন আর দোকানে খদ্দের টানতে টিভি-সিনেমা লাগে না। বাহারি চায়ের টানেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন খদ্দেররা। ক্রিম চা চকোলেট চায়ের মতো বাহারি চা পেয়ে খুশিও হচ্ছেন তাঁরা।’’
চমক পছন্দ করেন সকলেই। আর সেই চমক যদি চায়ের কাপে হয় তা হলে তো সোনায় সোহাগা। তাই তুফান উঠছে মাটির ভাঁড়েও!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy