Advertisement
০২ মে ২০২৪
Merchant Protest

কর্মতীর্থের দুয়ারে ক্ষোভ ব্যবসায়ীদের

ভ্যানরিকশায় বেশ কিছু আনাজ, ফল বিক্রেতা রাস্তার ধারে পসরা সাজিয়ে বসছেন। ফলে কর্মতীর্থের পিছনে বসা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

কর্মতীর্থের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের। হরিহরপাড়ায়।

কর্মতীর্থের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের। হরিহরপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৮:২৬
Share: Save:

কর্মতীর্থের দ্বারে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। হরিহরপাড়া বাজার এলাকার ঘটনা। বুধবার সকালে প্রায় ঘণ্টা খানেক বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হরিহরপাড়া বাজার এলাকায় কর্মতীর্থের পিছনে দৈনন্দিন আনাজ, মাছ, মাংস, ফলের বাজার তৈরি হয়েছে বিধায়ক তহবিলের টাকায়। ওই বাজার রক্ষণাবেক্ষণ করে হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ছিল খোলা বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ, মাংস বিক্রি হত। রাজ্য সড়কের ধারে ফুটপাত দখল করে বসত আনাজ, ফলের বাজার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, কর্মতীর্থে লোকজন টানতে ও ফুটপাত দখল মুক্ত করার পাশাপাশি যানজট মুক্ত করতেই কর্মতীর্থের পিছনে বাজার সরানো হয়েছে।

ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, নতুন জায়গায় ক্রেতারা ঠিক মতো আসছেন না। ফলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তা ছাড়া, এখনও বেশ কিছু ব্যবসায়ী ফুটপাতে ব্যবসা করছেন। ভ্যানরিকশায় বেশ কিছু আনাজ, ফল বিক্রেতা রাস্তার ধারে পসরা সাজিয়ে বসছেন। ফলে কর্মতীর্থের পিছনে বসা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মির আলমগির বলেন, “দিন কয়েক আগে সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান হবে। ব্যবসায়ীদের বলব নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য।”

সোনারুদ্দিন খান নামে এক আনাজের ব্যবসায়ী বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল রাস্তার ধারে ফুটপাত দখল করে কেউ ব্যবসা করবে না। অথচ দেখছি অনেকেই রাস্তার ধারে ব্যবসা করছেন। আমাদের কাছে খরিদ্দার ঠিক মতো আসছেন না। বাজার কমিটিকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গেটে তালা ঝুলিয়েছি।” সন্তোষ বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “ঠিক মতো বসার, যাতায়াতের রাস্তা নেই। অথচ প্রতিদিন ৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।’’ যাদব হালদার নামে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, “মাছ রাখার জায়গা নেই। পরিকাঠামো নাই। ব্যবসা করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hariharpara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE