E-Paper

পোকা ধরা চাল-ডালেই রান্না শিশুদের জন্য, বিক্ষোভ

সোমবার সকালে সেই কেন্দ্রে শিশুদের খাবার বিতরণের সময়ে তৈরি হওয়া খাবার দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রসূতি, শিশুদের অভিভাবকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৯
পোকা ধরা চাল, ডাল।

পোকা ধরা চাল, ডাল। — ফাইল চিত্র।

অভিযোগ, খাবার দেওয়া হয় নিম্ন মানের। তার উপরে সেই খাবারে মিশে রয়েছে পোকামাকড়। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে সোমবার এলাকার এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। ওই কেন্দ্রের দিদিমণিকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শো-কজ় করা হয়েছে ওই কেন্দ্রের দিদিমণিকে।

ঘটনাটি পলাশিপাড়া থানার সাহেবনগর পঞ্চায়েতের বড় নলদহ হাটপাড়ার ৩৫ নম্বর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের। সোমবার সকালে সেই কেন্দ্রে শিশুদের খাবার বিতরণের সময়ে তৈরি হওয়া খাবার দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রসূতি, শিশুদের অভিভাবকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এ দিন রান্না করা খাবারের মধ্যে ছিল অগুনতি পোকা। ওই খাবার শিশুদের খাওয়ার অযোগ্য বলে দাবি। এর পরেই ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা ওই কেন্দ্রে বিক্ষোভ শুরু করেন। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা।

এ দিনের ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অভিভাবকেরা না দেখলে শিশুরা ওই খাবার খেয়ে নিত। বড়সড় বিপদের আশঙ্কা হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে শিশুরা। তাদের খাদ্য থেকে বিষক্রিয়া বা শরীর খারাপও হতে পারত। কিন্তু খাবারে পোকা দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে ওই কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এবং দিদিমণিরা কোনও পদক্ষেপ করলেন না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বিক্ষুব্ধ হাবিবুল হালসানা জোয়াদ ফকির বলেন, “চালের বস্তার মধ্যে পোকা। সেই চাল দিয়ে হচ্ছে রান্না। এই খাবার খেলে শিশুদের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। কিন্তু দিদিমণিরা কিছুই করেনি।”

তেহট্ট ২ সিডিপিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যদ্রব্য আসার পর গোডাউন থেকে প্রত্যেক কেন্দ্রে তা পাঠানো হয়। তার মধ্যে কোনও বস্তার খাদ্যদ্রব্য খারাপ থাকলে সেই কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ অফিসকে জানালে তা দ্রুত পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ৩৫ নম্বর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের দিদিমণি লাইলা বেগম এই বিষয়ে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাননি বলেই দাবি। এ ছাড়াও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে সিডিপিও অফিস সূত্রে। এই কারণে ওই কেন্দ্রের দিদিমণি লায়লা বেগমকে শো-কজ় করেছেন তেহট্ট ২ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আধিকারিক। পাঁচ দিনের মধ্যে সেই শো-কজ়ের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে লাইলা বেগমকে একাধিক বার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।

তেহট্ট ২ সিডিপিও ভাস্কর ঘোষ বলেন, “খাদ্যদ্রব্য যে খারাপ আছে, তা জানাননি ওই কেন্দ্রের দিদিমণি। জানালে তা পরিবর্তন করে দেওয়া হত। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mid Day Meal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy