ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি প্রেমপত্র। আর সেই ‘অপরাধে’ গভীর রাতে এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার মা ও এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শনিবার গভীর রাতে খবর পেয়ে নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তার মা ও ওই চিকিৎসক কেউই তাকে বাড়িতে রাখতে রাজি না হওয়ায় রবিবার মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়।
তার উপর অত্যাচার করা হয় বলে ওই কিশোরী হোমে যাওয়ার আগে তার মা ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। রবিবার রাতে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সোমবার গ্রেফতার করা হয় কিশোরীর মা রাখি বালাকে। এ দিন দু’জনকেই কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ওই কিশোরীর উপরে নির্যাতনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরে রবীন্দ্রভবনের কাছে একটি নার্সিংহোমে আয়ার করতেন রাখি। পরে তিনি মেয়েকে নিয়ে ওই নার্সিংহোমের মালিক তথা চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিশোরীর অভিযোগ, “মা ও ওই চিকিৎসক আমাকে নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করে। ওই চিকিৎসকই সে দিন রাতে আমাকে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে নিয়ে আসে।”
অপূর্ব বিশ্বাস কৃষ্ণগঞ্জের উপ নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। শহরে তাঁর যথেষ্ট নামডাকও আছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ওই কিশোরীর ব্যাগ থেকে প্রেমপত্র পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। শনিবার রাতে ওই কিশোরীকে নিয়ে তার মা ও চিকিৎসক কোতোয়ালি থানায় এসে দাবি করেন, তাঁরা এই মেয়েকে ঘরে রাখতে চান না। পুলিশ যেন তাকে রেখে দেয়। পুলিশ রাতে তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
কিন্তু থানা থেকে তিন জন বাড়ি ফিরে গেলেও কিশোরীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। কিশোরীর অভিযোগ, “আমাকে রাস্তার উপরে দাঁড় করিয়ে রেখে ওরা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।” অপূর্ব বিশ্বাসের দাবি, “মেয়েটি যদি আমার বাড়িতে কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসত তাহলে তো আমিই বিপদে পড়তাম। সেই কারণেই ওকে পুলিশের কাছে রেখে আসতে চেয়েছিলাম।” কিশোরীর মায়ের দাবি, “ও মিথ্যে বলছে। মেয়েই বলেছিল সে তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy