আগামিকাল, শুক্রবার দোল। তারপর দিন হোলি উৎসব। সপ্তাহান্তের এই দুই উৎসবের আবহে মুর্শিদাবাদ জেলায় পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী থেকে
পর্যটক গাইডেরা।
দুর্গাপুজোর পর থেকেই মুর্শিদাবাদে পর্যটকের আনাগোনা কমে গিয়েছিল। মাঝে ইংরেজি নতুন বছরের গোড়ায় পর্যটকের আনাগোনা কিছুটা বেড়েছিল। তারপর থেকে ফের পর্যটকের আগমনে ভাটা পড়েছে। গত মাস থেকে বিভিন্ন ক্লাসের পরীক্ষা, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এর জেরে বর্তমানে জেলায় পর্যটক কম আসছেন। তবে সপ্তাহান্তে পর্যটকেরা ভিড় করছেন বিভিন্ন দ্রষ্টব্য দেখতে। দোল উৎসবের ছুটিতে জেলায় পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজন মনে করছেন। গত রবিবার, কাঠগোলা প্যালেসে এক হাজারেরও বেশি পর্যটক এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও বুধবার তা কমে যায়। প্রায় পাঁচশো পর্যটক হয়েছিল এ দিন। হাজারদুয়ারিতে বুধবার পর্যটকের সংখ্যা ছিল এক হাজারের বেশি। অতীতে দোল উৎসবের ছুটিতে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে প্রচুর পর্যটক আসতেন বলে গাইডেরা জানান।
মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধরের দাবি, ‘‘দোল উপলক্ষে মুর্শিদাবাদ শহরে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তার জেরে পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে বলেই আমাদের আশা।’’
সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক গাইড বলেন, ‘‘আগের তুলনায় পর্যটক কম হচ্ছে আমাদের জেলায়। তবে ছুটির দিন কিছু পর্যটক আসছেন। দোল উৎসবের ছুটিতে জেলায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশা করছি। অতীতে দোলের এক সপ্তাহ আগে থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করতেন। এখন আর তা হয় না। বুধবারও কাঠগোলা প্যালেসে প্রায় পাঁচশো পর্যটক এসেছিল। তবে গত রবিবার ছুটির দিনে প্রচুর লোক সেখানে এসেছিলেন।’’
আরেক গাইড কার্তিক ঘোষ বলেন, ‘‘বর্তমানে স্কুলগুলিতে পরীক্ষা চলছে। তাই পর্যটকের সংখ্যা কম। দোলে পর্যটক বেশি হবে বলে মনে করছি। ইদেও পর্যটকদের ভিড় হবে।’’
জেলার একটি হোটেলের মালিক বলেন, ‘‘আমার হোটেলে ২১টি ঘর রয়েছে। এখনও সব ঘরে পর্যটক আসেননি। দোলে কোনও ঘর খালি থাকবে না বলেই মনে হচ্ছে।’’ মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রতি বছরই দোল উৎসবে আমাদের জেলায় পর্যটকেরা আসেন। এ বারও তাঁরা প্রচুর সংখ্যায় আসবেন বলেই আমরা মনে করছি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)