মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হঠাৎ রেগে অগ্নিশর্মা বাবা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে একের পর এক কোপ মারলেন ‘আমন্ত্রিত এক অতিথিকে।’ রক্তে ভাসল জন্মদিনের কেক। অভিযোগ, প্রহৃত যুবক ওই তরুণীর প্রেমিক। প্রেমিকার জন্মদিন পালন করতে গিয়ে তাঁর বাবার হাতে বেধড়কর মার খেয়েছেন তিনি। এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিতলার বাসিন্দা মামুন শেখের সঙ্গে ওই এলাকার শরিফুল শেখের মেয়ের প্রণয়ঘটিকত সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে ওই যুবকের মেলামেশা ভাল ভাবে নেননি শরিফুল। বেশ কয়েক বার মামুনকে তিনি ‘সাবধান’ করেছিলেন।
মঙ্গলবার ছিল শরিফুলের মেয়ের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে অনেকেই এসেছিলেন বাড়িতে। সন্ধ্যায় সেখানে উপস্থিত হন মামুনও। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কয়েক জন বন্ধু। কেক কাটার আগে ওই যুবকদের দেখে রাগে ফেটে পড়েন শরিফুল। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে মেয়ের প্রেমিকের উপর চড়াও হন তিনি। অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন ওই মামুন। তাঁর এক বন্ধুর অভিযোগ, ‘‘জন্মদিনের কেকের উপর ফেলে মারধর করা হয় মামুনকে। এতটাই রক্ত বেরোয় যে কেকটা রক্তে মাখামাখি হয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় কোনও ক্রমে প্রেমিকার বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন যুবক।’’
আরও পড়ুন:
পরে বাড়ির লোকজন মামুনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন যুবক। পরিবারের দাবি, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে মামুনের। শারীরিক পরিস্থিতি ভাল নয়। মামুনের এক আত্মীয়ের কথায়, ‘‘প্রথমে একে নসিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকেরা বিবেচনা করে ওকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলেন।’’ তিনি জানান, অভিযুক্তের (মেয়ের বাবা) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজ করছে পুলিশ।