E-Paper

সপ্তাহান্তে পর্যটকের ভিড় দেখে বাড়ছে আশা

গাইড এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী কয়েক দিন ভিড় এমনই থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক আসছেন এখন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৫৮
হাজারদুয়ারি তে পর্যটকদের ভিড়।

হাজারদুয়ারি তে পর্যটকদের ভিড়। ফাইল চিত্র।

সপ্তাহান্তে পর্যটকদের ভিড়ে জমে উঠল মুর্শিদাবাদের পর্যটন। পুজোর মরসুমে পর্যটকদের ভাল ভিড় হচ্ছে বলেই জানান স্থানীয় গাইড, টাঙাচালক ও হোটেল ব্যবসায়ীরা। রবিবার হাজারদুয়ারিতে পাঁচ হাজারেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। শনিবার টিকিট বিক্রি ছুঁয়েছিল ছ’ হাজারে। কাঠগোলা প্যালেসে শনিবার পর্যটকদের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার। রবিবার যদিও পর্যটকদের ভিড় কিছুটা কম ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গাইড এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, আগামী কয়েক দিন ভিড় এমনই থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক আসছেন এখন। বাইরের রাজ্য এবং বিদেশ থেকেও পর্যটকেরা আসছেন বলে জানান গাইডেরা। হোটেলগুলিতেও ভাল ভিড় হয়েছে চলতি পুজোর মরসুমে। হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, ষষ্ঠীর আগে থেকেই হোটেলগুলিতে পর্যটকেরা চলে এসেছিলেন। ডিসেম্বর মাসে ক্রিসমাস, নতুন বছরে আরও ভিড় বাড়বে বলে তাঁদের আশা।

মুর্শিদাবাদ হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, “এ বার ভিড় ভাল হয়েছে। মঙ্গলবার অবধি আমাদের হোটেল বুকিং আছে। দুই ২৪ পরগনা, হুগলি থেকে পর্যটকেরা এসেছেন আমার হোটেলে। অনেকে ডিসেম্বর মাসের জন্যও হোটেল বুকিং শুরু করেছেন। পর্যটকদের ভিড় বাড়ার কারণে আমাদের এ বার হোটেল ব্যবসাও ভাল হয়েছে।”

গাইড বসির খান বলেন, “পুজো শুরুর দু’দিন আগে থেকেই পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছিলেন। শনি ও রবিবার ভিড় ছিল। এমন ভিড় আরও বেশ কয়েক দিন থাকবে বলেই আশা করছি। রবিবার বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি অন্য জেলা এবং ভিন্ রাজ্য থেকেও পর্যটক এসেছেন। পুজোর মরসুমে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় হওয়ায় আমরা খুশি।”

টাঙা চালক সংগঠনের নেতা মনু শেখ বলেন, “রবিবার বাসের সংখ্যা ছিল ১৬টি। ছোট গাড়ির সংখ্যা ছিল চারশোর বেশি। পুজোর মরসুমে পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় সকলেই খুশি। টাঙা চালকদের মুখেও হাসি ফুটেছে।” সিটি মুর্শিদাবাদ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, “এই খামখেয়ালি বৃষ্টি উপেক্ষা করেও পর্যটকেরা মুর্শিদাবাদে ভিড় করেছেন। এমন ভিড় আরও কয়েক দিন থাকবে বলে
আমরা আশাবাদী।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

lalbagh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy