E-Paper

ভাইপোকে ফেরালেন খলিলুর

গত বছর বিজয়া দশমীতে তৃণমূলে একবার ফিরেছিলেন আনারুল হক বিপ্লব। ২০১৩ সালে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত হলেও পরে যোগ দেন তৃণমূলে।

বিমান হাজরা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:৫০
Khalilur Rahaman

খলিলুর রহমান। —ফাইল চিত্র।

ভাইপোকে ফের দলে ফেরালেন খলিলুর রহমান।

তবে খলিলুরের কথায়, ‘‘‘রাজ্য কমিটির নির্দেশেই’ জেলা পরিষদে কংগ্রেসের দলনেতা আনারুল হক বিপ্লব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বুধবার। সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁর সঙ্গী ধুলিয়ানের পুর কাউন্সিলার পরভেজ আলম, পঞ্চায়েত সমিতির ৬ জন ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮ জন কংগ্রেস সদস্য।’’

এ দিন খলিলুর বলেন, ‘‘শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের সম্মতিতেই এই যোগদান সভা। যাঁরা আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা যেন মনে রাখেন শমসেরগঞ্জের দলীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির নির্দেশ মেনে আপনাদের কাজ করতে হবে। ঠিক তেমনই বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিকেও আমার নির্দেশ, আপনার সম্মতি নেওয়া হয়েছে, এদেরকেও আপনি তাই মেনে নেবেন। বিপ্লবের যোগদানে কংগ্রেস মুছে গেল শমসেরগঞ্জ থেকে আমি জানি, এমন দিন আসছে এ জেলায় ঘাসফুল ছাড়া কেউ থাকবে না।’’ তবে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শমসেরঞ্জের অমিত তিওয়ারি বলছেন, ‘‘বুঝে ছিলাম বিপ্লব দল ছাড়ছে।তবে আমাদের কোনও দুশ্চিন্তা নেই। কোনও ক্ষতিও হবে না এই দলত্যাগে।’’

এ দিনের যোগদান সভায় জঙ্গিপুরের সমস্ত দলীয় বিধায়ককে যোগ দিতে বলা হলেও ৯ জনের মধ্যে হাজিরার সংখ্যা ছিল মাত্র ৪, ফরাক্কার মনিরুল ইসলাম, নবগ্রামের কানাই চন্দ্র মণ্ডল, যিনি আবার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান। আর ছিলেন জাকির হোসেন ও বাইরন বিশ্বাস। ছিলেন রাজ্যের সহ সভাপতি মইনুল হকও।

শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম যে এদিনের সভায় আসবেন না তা নিশ্চিতই ছিল। কারণ শমসেরগঞ্জে বিপ্লবকে ঘিরেই মূলত দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল। আর তাতেই বিপ্লবের কংগ্রেসে যাওয়া।

গত বছর বিজয়া দশমীতে তৃণমূলে একবার ফিরেছিলেন আনারুল হক বিপ্লব। ২০১৩ সালে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত হলেও পরে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১৮ সালে জেলা পরিষদে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। হন কর্মাধ্যক্ষ। তারপর থেকেই আনারুল ও আমিরুলকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতি। যার জেরে বিব্রত হতে হয়েছে খলিলুরকে। আমিরুলকে বিধানসভা নির্বাচনে হারাতে বিপ্লব কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নামেন।

সেই বিপ্লব ফের তৃণমূলে আসায় আমিরুল কী বলেন তা জানা যায়নি এদিন। সম্ভবত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন আমিরুল। তবে বিপ্লব এ দিন বলেন, ‘‘কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। ফের শাসক দলে ফিরলাম। কারণ এলাকার উন্নয়নের জন্য এর প্রয়োজন ছিল। শমসেরগঞ্জে সব বিভেদ ভুলে কাজ করব আমি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jangipur TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy