Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
জালনোট পাচার

চার্জশিট দিল এনআইএ

জাল নোট পাচারের ঘটনায় এক জন বাংলাদেশি-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনআইএ (জাতীয় তন্তকারী সংস্থা)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৮
Share: Save:

জাল নোট পাচারের ঘটনায় এক জন বাংলাদেশি-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনআইএ (জাতীয় তন্তকারী সংস্থা)। মঙ্গলবার কলকাতায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তদন্তকারী ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পি এল চৌরাশিয়া ওই চার্জশিট জমা দেন। অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে চার জন এখনও ফেরার।

২০১৫ সালের ২৬ মে বহরমপুরের কেন্দ্রীয় রাজস্ব শুল্ক মন্ত্রকের সাব জোনাল ইউনিটের গোয়েন্দাদের হাতে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ডাকবাংলো মোড় থেকে ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট-সহ সুশান্ত সাহু ওরফে বিকাশ নামে এক যুবক গ্রেফতার হয়। তার বাড়ি ওড়িশার ঢেনকানলের খালিবেরিনি গ্রামে। ওই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ।

এনআইএ-র তদন্তে জাল নোট চক্রের মূল পাণ্ডা হিসেবে উঠে আসে বাঁকুড়ার উত্তমকুমার সিংহের নাম। তাকে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কয়েক বছরে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ থেকে সে প্রায় ৪ কোটি জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়েছিল।

এমনকী এনআইএ-র হাতে গ্রেফতারের পরেও জেল থেকেই সে জাল নোট পাচারকারীদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রাখছিল। জেলে তার কাছ থেকে সেই মোবাইল ফোনও পরে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তার সঙ্গী হিসেবে ধানবাদ ও ধুলিয়ান লাগোয়া বৈষ্ণবনগর এলাকার বেশ কয়েক জন কাজ করছিল বলে এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে।

এনআইএ-র এক আধিকারিক জানান, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে জাল নোটের রমরমা ঠেকাতে একাধিক মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার হাতে প্রায় ৭ কোটি টাকার জাল নোট ধরা পড়েছে এই দুই জেলার সীমান্ত এলাকায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায়। তাই এনআইএ-র নজরদারিতেও রয়েছে ওই এলাকাগুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NIA Chargesheet
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE