প্রতীকী ছবি
মৃত্যু হয়েছে আগে দিন রাত ৮টায়। কিন্তু করোনার আতঙ্কে আত্মীয়-পড়শি কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। রাতভর পড়ে থাকার পরে পরের দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হল দেহ।
চাকদহ শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর ঠাকুর কলোনির ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুবীর হালদার (২৩)। তিনি কাঠ পালিশের মিস্ত্রি ছিলেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সুবীর মেজো। মঙ্গলবার তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা হালদার জানান, দিন চারেক ধরে সুবীরের জ্বর আর কাশি ছিল। চাকদহ এবং রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরে সে সব কমে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। বুকে একটু ব্যথাও ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে বাড়িতেই সুবীরের মৃত্যু হয়। পূর্ণিমা বলেন, তিনি বলেন, “রাতে ভাসুরের মৃত্যুর পরে অনেক লোককে ডেকেছি, কিন্তু কেউ আসে নি। পর দিন সকালে পুলিশ এবং আর কয়েক জন এসে মৃতদেহ নিয়ে গেল।” চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সর্বানন্দ মধু বলেন, “কোন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়নি। তাই মৃত্যুর কারণ জানতে এ দিন মৃতদেহ কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”
সর্বানন্দবাবুর মতে, “করোনার আতঙ্কেই হয়তো মৃতদেহের কাছে কেউ যায়নি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। যে কারও এ ধরনের বিপদ হতে পারে।” চাকদহ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি বিবর্তন ভট্টাচার্য বলেন, “অমানবিক ঘটনা। আতঙ্কে এলাকার কেউ আসেনি। আমি শোনার পর প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে জানিয়েছি। পরে ওদের বাড়িতেো গিয়েছিলাম। পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে না-যাওয়া পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy