অয্যোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ পেয়েছেন নবদ্বীপের চার জন সাধু-মোহান্ত। মায়াপুর ইস্কন থেকেও একটি দল অযোধ্যায় যাচ্ছে।
নবদ্বীপের সনাতন সন্ত সমাজের সভাপতি নিত্যযুক্তানন্দ অবধূত, নবদ্বীপ সুদর্শন মন্দিরের প্রধান ভাগবত কিশোর গোস্বামী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মধ্যবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি শ্রুতিশেখর গোস্বামী এবং ভাগবত পাঠক পার্থ গোস্বামী ‘রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর পাঠানো ওই আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন।
হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম মিলিয়ে মধ্যবঙ্গের আটটি জেলা থেকে মোট ৮১ জন সাধু-মোহান্ত বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আগামী ২২ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময়ে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন। নিরাপত্তার কারণে ওই অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত ছ’হাজার জনেরই কেবল প্রবেশাধিকার থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রবীণ সন্ন্যাসী নিত্যযুক্তানন্দ অবধূত বলেন, “আমার মতো সামান্য মানুষকে ওঁরা আমন্ত্রণ জানানোয় আমি অভিভূত।” ভাগবত কিশোর গোস্বামীর মতে, “এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারা এক বিরাট গৌরবের বিষয়।” মায়াপুর থেকে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিত হয়েছেন জগদার্তিহা দাস। শ্রুতিশেখর গোস্বামী বলেন, “আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য একটি বিস্তারিত ফর্মে অনেক রকম তথ্য দিতে হয়েছে। ডাকযোগে আসা আমন্ত্রণপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়াও বাধ্যতামূলক। ওখানে পৌঁছনোর পর সেটির বদলে পৃথক কার্ড আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হবে।”
আমন্ত্রিতদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কবে, কী ভাবে তাঁরা অয্যোধ্যায় পৌঁছবেন। সঙ্গে ‘সেবক’ যাচ্ছে কিনা। প্রত্যেকে এক জন করে ‘সেবক’ নিতে পারেন, তবে তিনি মূল অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না। কর্তৃপক্ষ প্রতি ১৫ জন সাধুর জন্য এক জন করে সেবকের বন্দোবস্ত করেছেন। আগামী ১৯ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যেকের থাকা এবং প্রসাদের দায়িত্ব রামমন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের। তবে যাতায়াতের খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। কবে, কী ভাবে আমন্ত্রিতেরা ফিরবেন তা-ও আগাম জানিয়ে দিতে হয়েছে।
তবে এখনও এই ধরণের কোনও বিশেষ আমন্ত্রণ পাননি মায়াপুর ইস্কন বা আর কোনও মন্দির কর্তৃপক্ষ। মায়াপুর ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিকগৌরাঙ্গ দাস বলেন, “ইস্কন থেকে একটি বড় দল যাচ্ছে অয্যোধ্যায়। তারা ওখানে তিন লক্ষ গীতা এবং পাঁচ লক্ষ অন্য গ্রন্থ বিতরণ করবে এবং প্রসাদ বিতরণে যুক্ত থাকবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)