পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে এখনও ঘরে ফেরেননি শিরচরের বাসিন্দা প্রণব মণ্ডল। জলসীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগে বিজিবি প্রথমে তাঁকে আটক করে। পরে তাঁকে তুলে দেয় বাংলাদেশ পুলিশের হাতে। প্রণব কবে ফিরবেন, জানেন না তাঁর বাড়ির লোকজন। সেই ঘটনার পর থেকে অন্য মৎস্যজীবীরাও আর মূল পদ্মায় নেমে ইলিশ ধরতে পারছেন না। তাঁরা কী খাবেন, কী ভাবে সংসার চলবে সে বিষয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে কাকমারি চর ও শিরচর।
পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা আক্ষেপের সুরে বলছেন, ‘‘এমনিতেই ভোটের সময় ছাড়া আমাদের কথা কারও মনে থাকে না। এমন দুর্দিনে রাজনৈতিক দল কিংবা প্রশাসনের কেউই এক বার খোঁজ পর্যন্ত নিতে এলেন না।’’ রবিবার দুপুরে কাঁদতে কাঁদতে প্রণবের স্ত্রী রেখা মণ্ডল বলছিলেন, ‘‘ঘটনার পরে চার দিন কেটে গিয়েছে। প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী, এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধানও আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। আমরা কী খাচ্ছি, কী ভাবে আছি সেই খোঁজটাও নেননি কেউ।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের শুক্লা সরকার তাঁর এলাকার এই অসহায় পরিবারগুলোর খোঁজ নেওয়ার সময় পাননি। ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। প্রশাসনের তরফেও সেই একই অবস্থা। জলঙ্গির বিডিও আজার জিয়াও সাড়া দেননি ফোনে।