Advertisement
E-Paper

অপহরণ! মুক্তিপণ চেয়ে ফোন বাড়িতে, পুলিশি অভিযানে উদ্ধার যুবক

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেতাই এলাকার যুবক সৌমিত্র মণ্ডলের সঙ্গে অনুপ সরকারের ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ছিল। সেই ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেনে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। তাঁরা বৈদিশিক মুদ্রা কেনাবেচা করতেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ২২:২৫

— প্রতীকী চিত্র।

এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনা তেহট্ট থানার বেতাই এলাকায়। ধৃত দুই অভিযুক্তের নাম অনুপ সরকার ও সুব্রত ভক্ত। বাড়ি বেতাই এলাকায়। শনিবার রাতে অনুপ সরকারকে পুলিশ বেতাই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। অপহৃত যুবককে পুলিশ উদ্ধার করেছে। সুব্রত ভক্তকে তিন দিন আগেই পুলিশ বেতাই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয়। তাঁর কাছ থেকে অনুপের কথা জানতে পারে পুলিশ। তার পর মূল অভিযুক্ত অনুপকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অপহৃত যুবকের মা পাঁচ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। রবিবার দু’জনকে তেহট্ট আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেতাই এলাকার যুবক সৌমিত্র মণ্ডলের সঙ্গে অনুপ সরকারের ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন ছিল। সেই ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেনে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। তাঁরা বৈদিশিক মুদ্রা কেনাবেচা করতেন। সেই ব্যবসায় সৌমিত্রের সঙ্গে কিছু টাকা অনুপ পেতেন বলে জানা যায়। যদিও অপহৃত যুবকের দাবি, সেই টাকা শোধ করা হয়েছে। এ মাসের ২৪ তারিখ সৌমিত্রকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, কলকাতা থেকে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে এসে তাঁকে বেতাই আখড়াপাড়া থেকে জোর করে পাঁচ জন মিলে তুলে নিয়ে যান। সেখান থেকে এলাকার বেলেচুয়া পাড়া মাঠে তাঁকে মারধর করে পলাশি হয়ে কলকাতার উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে রওনা হয়। রাস্তায় তাঁর চোখ বাঁধা ছিল। রাস্তায় তাঁকে একটি হোটেলে খাইয়ে আবার গাড়ি করে নিউ ব্যারাকপুর নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাড়িতে তাঁকে আটকে রাখা হয়।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই বাড়িটি দু’জন সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলে ভাড়া নেন। সেই দু’জন এই চক্রে জড়িত। রাতে অপহৃত যুবক কোনও রকমে ঘর থেকে বেড়িয়ে ছাদে উঠে কাঁঠাল গাছ বেয়ে নেমে পালিয়ে যান। এর মধ্যে অভিযুক্ত অনুপ সরকার অপহৃতের মাকে ফোন করে বলেন, ছেলেকে ফিরে পেতে ছয় লক্ষ টাকা সুব্রত ভক্তের কাছে দিয়ে আসতে। এরপর অপহৃতের মা থানায় সুব্রত ভক্ত-সহ পাঁচ জনের নামে অভিযোগ করেন। পুলিশ সুব্রতকে গ্রেফতার করে।

arrest Kidnap Cases Tehatta police investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy