মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের পরে এ বার ফের ওড়িশা। হরিহরপাড়ার দুই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের লোকেদের দাবি, ওড়িশায় বাংলাদেশি সন্দেহে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক দল বাঙালি শ্রমিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হরিহরপাড়ার দু'জন, নওদার দু'জন ও নদিয়ার করিমপুর ও থানারপাড়া থানা এলাকার পাঁচ জন পরিযায়ী শ্রমিক।
রাজ্যসভার সাংসদ ও পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলাম বলেন, “রাজ্য পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।” হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, “বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও অনেক রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা জুটছে। ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে রাজ্যের শ্রমিকেরা হেনস্থা হচ্ছে। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।” জেলা পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, “আমরা ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”
আটক পরিযায়ীদের মধ্যে রয়েছেন হরিহরপাড়ার সাহাজাদপুর গ্রামের বাসিন্দা সামিউল শেখ ও নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা জালিম শেখ। সামিউলের বাবা সরিফুল ইসলাম বলেন, “ছেলে দশ দিন আগে ওড়িশায় কাজে যায়। সোমবার রাতে জানতে পারি তারা যে এলাকায় থাকত সেখান থেকে ন'জনকে বাংলাদেশি সন্দেহে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে।” নওদার ছাবাতলা এলাকার বাসিন্দা বিল্লাল শেখ ও মনিরুল শেখকে বৈধ নথিপত্র দেখানোর পরে পুলিশ পাহাল থানা থেকে ছেড়ে দিলেও নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের সাত জনকে আটক করে রেখেছে বলে দাবি পরিবারের লোকেদের। এর আগেও ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল।
সামিউলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা ওড়িশার খুরদা জেলার পাহাল থানা এলাকায় কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ রাজমিস্ত্রির সহযোগীর কাজ করতেন। ওই এলাকায় মুর্শিদাবাদের অনেক শ্রমিক, ফেরিওয়ালা রয়েছেন বলে খবর। হরিহরপাড়ার বাসিন্দা শামিম রহমান বলেন, “এলাকার দু'জনকে ওড়িশা পুলিশ আটক করেছে খবর পেয়ে বিধায়ক নিয়ামত শেখ ও সাংসদ সামিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদের উদ্ধারের কাজ চলছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)