—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উল্টো পথে মাদক পাচারের রহস্য খুঁজছে পুলিশ। শীত পড়তেই কাশির সিরাপের পাচার শুরু হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে পুলিশ ও বিএসএফের। এ বারের মাদক পাচারের রুট বদলে যাওয়ায় চিন্তা আরও বেড়েছে।
সাধারণ ভাবে মাদক পাচারের রুট উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু রুট বদলে বিশাল পরিমাণ মাদক সিরাপ কেন যাচ্ছিল উত্তরবঙ্গের ডালখোলায় সে প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। কারণ এ যাবত যখনই মুর্শিদাবাদে মাদক ধরা পড়েছে তা সবই উত্তরবঙ্গ, অসম, নাগাল্যান্ড বা মণিপুর থেকে আসা।
বুধবার দুপুরে ১২ নম্বর (পুরনো ৩৪) জাতীয় সড়কে রঘুনাথগঞ্জ থানার তালাই মোড়ে বিশেষ টাস্ক ফোর্স ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এ যাবত কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কাশির মাদক সিরাপ আটক হওয়ায় এটা স্পষ্ট, শীতে মাদক সিরাপের পাচার বাড়ছে।
রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার আটক হওয়া ট্রাক থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪,৯০০ বোতল একটি বিশেষ ব্রান্ডের কাশির সিরাপ,যার বাজার দাম প্রায় ২ কোটি টাকা। বিকল্প পথ থাকা সত্ত্বেও দু’কোটি টাকার এত পরিমাণ মাদক সিরাপ নিয়ে ডালখোলা যাওয়ার জন্য মুর্শিদাবাদের ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক কেন ধরেছিল, সেটাই সন্দেহজনক ঠেকছে পুলিশের কাছে। নাকি এই সিরাপ অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল?
টাস্ক ফোর্স সূত্রে জানানো হয়, এই বিরাট মাদক পাচারের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারকারীরা যুক্ত রয়েছে। এই মাদক সিরাপ ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।রঘুনাথগঞ্জ থানায় বুধবার রাতেই মাদক পাচারের ধারায় এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে টাস্ক ফোর্স।
শীতে পাচার বাড়ে। এ বারও বেশ কিছু মাদক ধরা পড়েছে শুধু ডিসেম্বরেই। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি এ কে আর্য জানান, এই ভাবে ধরপাকড় মাদক চোরাচালানকারীদের কাছে বড় ধাক্কা।
ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এ এফ আরিয়ারের দাবি, মাদক চোরাচালানে জড়িতদের এই পাচারের পথ থেকে সরে এসে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা হচ্ছে। কারণ সীমান্ত পথে এই শীতের মরসুমে এতটাই কড়া ব্যবস্থা রয়েছে যে পাচার প্রায় অসম্ভব। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy