হাঁসখালির বিশ্বনাথ বিশ্বাসই যে প্রার্থী হচ্ছেন, ঘোষণা না হলেও জেনে গিয়েছিল কৃষ্ণগঞ্জ। দেওয়ালে আর ফ্লেক্সে জোড়হাতে বিশ্বনাথের ছবি আর টুকটাক প্রচারে প্রার্থী পরিচয়ের পর্বটাও আগাম সেরে রেখেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। কিন্তু দিন কয়েক আগে দিল্লি থেকে প্রাথী ঘোষণার পরে কৃষ্ণগঞ্জ কেন্দ্রের পাশে প্রতাপ রায়ের নাম দেখে কিঞ্চিৎ হকচকিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছিল। চাকদহের ছোট জাগুলিয়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, প্রায় সত্তর ছুঁই ছুঁই প্রতাপ প্রচারে খানিক পথ একাই হেঁটে ফিরে এসেছিলেন ঘরে। জেলার একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ শঙ্কর সিংহের অনুগামী প্রতাপবাবু তাই অভিমান করে এ বার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রদেশ নেতাদের কাছে প্রতাপবাবু জানান, ঢের হয়েছে! স্থানীয় কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের একাংশ প্রচারে সাহায্য তো দূরের কথা, উলটে তাঁকে বাড়িতে নাগাড়ে ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন।
শনিবার দুপুরে চাকদহে শঙ্করবাবুর বাড়িতে বৈঠকের পরে, প্রতাপবাবু জানান, শারীরিক কারণে তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। টেলিফোনে প্রদেশ নেতৃত্বকেও সে কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘‘প্রচারে গিয়ে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে পাইনি। যাতে ভোটে না দাঁড়াই সে জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছে। তাই সরে দাঁড়ালাম।’’ শঙ্কর অবশ্য বলছেন, “প্রতাপবাবুকে চাপ দেওয়া হয়েছে এমনটা নয়। শারীরিক কারণেই ভোটে দাঁড়াবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy