ধর্নামঞ্চে পরিবেশিত হল নাটকও। রবিবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
এর আগে তাঁরা মিছিলে হেঁটেছিলেন। এ বার বসলেন ধর্নায়। দাবি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি প্রত্যাহার করতে হবে। এক দিকে নাগরিকদের ধর্না, অন্য দিকে সিদ্দিকুল্লার সভা।
সিএএ-এনআরসির বিরোধিতায় এ বার পলাশির পরে এ বার ধর্নার পথে হাঁটল কৃষ্ণনগরও। পলাশির মতো অনির্দিষ্ট কালের ধর্না অবশ্য নয়। সদরশহরে কর্মসূচি দু’দিনের। রবিবার দুপুর ২টো থেকে কৃষ্ণনগরে পাত্রবাজারের সামনে ধর্না শুরু হয়। আয়োজনে নদিয়া জেলা এনআরসি বিরোধী নাগরিক আন্দোলন সমন্বয় মঞ্চ। ধর্নামঞ্চের উদ্বোধন করেন কবি দেবদাস আচার্য।
এর আগেও নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে এনআরসি বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন এক সঙ্গে মঞ্চ তৈরি করে কৃষ্ণনগর শহরে মিছিল বার করেছিল। সেখান থেকেই ধর্নামঞ্চের চিন্তাভাবনা শুরু। এ দিন দুপুর থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত এই ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। দলীয় পতাকা সরিয়ে রেখে এই মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরও। মানবাধিকার কর্মীরাও থাকছেন। এদিন ধর্নামঞ্চে এনআরসি ও সিএএ-বিরোধী নাটক করে শান্তিপুরের ‘সাজঘর’ নাট্যগোষ্ঠী। প্রাথমিক ভাবে, দু’দিনের ধর্নামঞ্চ হলেও পরে ফের নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের অন্যতম সংগঠক তাপস চক্রবর্তী।
এ দিনই কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে আবার নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতায় সভা করে জামিয়াতে উলামায়ে হিন্দ। সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও রত্না ঘোষ। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষকে এক সঙ্গে আন্দোলনে নামার ডাক দেন সিদ্দিকুল্লা। আন্দোলন যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, সে দিকেও তিনি জোর দিয়েছেন। সভায় বক্তাদের অনেকেই অসমের উদাহরণ তুলে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষেরই বিপদের কথা বলেন। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy