Advertisement
E-Paper

সুস্মিতা খুনে ধৃত মোমোর দোকানদারই

সুস্মিতার মোমো ব্যবসায়ী বন্ধুকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৮ ০০:৪৬
ধৃত অভিজিৎ (বাঁ দিকে)।

ধৃত অভিজিৎ (বাঁ দিকে)।

স্বামী নয়, বরং সুস্মিতার মোমো ব্যবসায়ী বন্ধুকেই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ।

রানাঘাট থানায় দফায়-দফায় জেরার পরে বুধবার রাতেই অভিজিৎ কুন্ডু ওরফে বাবাইকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সে খুনের কথা কবুল করেছে। বৃহস্পতিবার রানাঘাট আদালতে তোলা হলে তাকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় পায়রাডাঙার নতুন গোপালপুরে বাপের বাড়ির বিছানায় মেলে বছর উনিশের সুস্মিতা সরকার ওরফে মণির রক্তাক্ত দেহ। কাছেই পড়ে ছিল রক্তমাখা ক‌োদাল। ওই রাতেই সুস্মিতার দু’টি মোবাইল ফোন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার কললিস্টের সুত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়। ওই দিন মণির সঙ্গে যাদের কথা হয়েছিল, তাদের ডেকে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ।

হুগলির শেওড়াফুলিতে বিয়ে হলেও গত কয়েক মাস সুস্মিতা বাপের বাড়িতে ছিলেন। তাঁর শাশুড়ি সোমা রায়ের দাবি, সারা ক্ষণই তাঁকে ফোনে কথা বলতে দেখা যেত। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার জেরে মণি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। বাপের বাড়িতেও তিনি অনবরত ফোনে ব্যস্ত থাকতেন বলে তাঁর বাবা ও পড়শিরা জানিয়েছেন। সুমনকে রানাঘাট থানায় ডাকা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বছর সাতাশ বয়েসের বাবাইয়ের বাড়ি রানাঘাট শহরের মাঠেরপাড়ায়। পাশেই রাস্তার ধারে তার মোমোর দোকান। সারা দিন বাড়িতে মোমো তৈরি করে সন্ধ্যায় সে তা বিক্রি করত। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে ছবিও তুলত সে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মাস দুই আগে মোবাইলে মিস্ড কলের সুত্র ধরে সুস্মিতার সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। সাময়িক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। সুস্মিতাদের বাড়িতে বাবাইয়ের আসা-যাওয়া ছিল। কিন্তু গত কিছু দিন যাবৎ সেই সম্পর্কে চিড় ধরে। সুস্মিতার দিদি প্রিয়াঙ্কা সাহাও দাবি করেন, ‘‘ওদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেটা ওদের কথাতেই বোঝা যেত।’’

বাবাইয়ের দুই বন্ধু পুলিশকে বলেছেন, সম্প্রতি অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে শুরু করেছিলেন সুস্মিতা। বাবাই তা জেনে গেলে ঝামেলা বাধে। পুলিশের দাবি, সোমবার বিকেলে বাড়িতে যখন কেউ ছিল না, সেই সময়ে বাবাই মণিদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। তার পর সুযোগ বুঝে কোদাল দিয়ে তাঁর মাথায় মারে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁসও দেয়। বাবাইয়ের মা অলকা কুন্ডু অবশ্য দাবি করেন, “আমার ছেলের সঙ্গে কোনও মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে জানি না। সোমবার সারা দিন বাড়িতে বসে সে মোমো তৈরি করেছে। ওকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।”

Ranaghat Crime Murder Nadia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy