E-Paper

ভাগীরথীর ভাঙন রুখতে কাজ শুরু মেথিডাঙায়

সার্বিক ভাবে এই মেথিডাঙা এলাকার বাঁধের গুরুত্ব রয়েছে অনেকটাই। প্রশাসনের তরফেও এর উপর নিয়মিত নজর রাখা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৩৩
ভাগিরথি নদীর ভাঙন।

ভাগিরথি নদীর ভাঙন। ফাইল চিত্র।

ভাঙনের আশঙ্কা ছিল। এ বার শান্তিপুরের মেথিডাঙা এলাকায় ভাগীরথীর ভাঙন রোধে প্রাথমিক কাজ শুরু করল সেচ দফতর।

শান্তিপুরের ভাগীরথী লাগোয়া বেশ কিছু এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙনপ্রবণ। একাধিক বার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙনের ঘটনাও ঘটেছে। শান্তিপুরের প্রান্তিক এলাকা হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেথিডাঙা এলাকা ভাঙন এবং বন্যাপ্রবণ বলে পরিচিত। মেথিডাঙায় একটি বাঁধও রয়েছে। ভাগীরথীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে বন্যার কারণে এক সময় এই এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হত। মানুষের বসতবাড়ি থেকে চাষের জমি চলে যেত জলের তলায়। তা থেকে রক্ষা করতে এই মেথিডাঙা বাঁধ তৈরি হয়েছিল বহু আগে। এই বাঁধ তৈরি না হলে প্লাবনে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার পাশাপাশি শান্তিপুর শহরেরও অন্তত দু’টি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হত। এখানে বাঁধ তৈরি হওয়ায় বন্যার প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে দাবি।

সার্বিক ভাবে এই মেথিডাঙা এলাকার বাঁধের গুরুত্ব রয়েছে অনেকটাই। প্রশাসনের তরফেও এর উপর নিয়মিত নজর রাখা হয়। সম্প্রতি টানা বৃষ্টির মধ্যে ভাগীরথীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল অনেকটাই। এতে ভাগীরথী লাগোয়া শান্তিপুরের বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

কিন্তু জল নেমে যাওয়ার সময় ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়। ভাগীরথীর পারে ভাঙনের পাশাপাশি মেথিডাঙা বাঁধেও ভাঙনের আশঙ্কা ছিল। মেথিডাঙা বাঁধে ভাঙন তৈরি হলে তার প্রভাব পড়বে আশপাশের বিস্তীর্ণ জায়গায়। সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে হরিপুর পঞ্চায়েত এবং শান্তিপুর শহরের একটি অংশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

ফলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। এর আগে মেথিডাঙা এলাকা ঘুরে দেখেও যান শান্তিপুরের বিধায়ক। ওই এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ শুরুর প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেচ দফতরের তরফে তা অনুমোদিত হয়েছে সম্প্রতি। সেই কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেথিডাঙা এলাকায় ভাগীরথীর পাড়ে ভাঙন প্রতিরোধের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই কাজ হবে। এর জন্য প্রাথমিক ভাবে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এই বছরের শেষের দিকে এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু হয়ে যাবে।

শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, “মেথিডাঙা বাঁধ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আমি সেচ দফতরের কাছে ভাঙন প্রতিরোধে কাজের আবেদন জানিয়েছিলাম। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হবে ডিসেম্বরে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy