শুক্রবার দুপুরে পদ্মার ভাঙন শুরু হয় লালগোলার তারানগর গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল শেখ বলেন, “শুক্রবার দুপুরে পদ্মার ধারে আসতেই চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে তিনটি বড় বড় গাছ পদ্মার গর্ভে চলে গেল।”আর এক বাসিন্দা আবুল কাসেম বলেন, “কিছু দিন ভাঙন বন্ধ ছিল, এ দিন দুপুরে পদ্মা তীরবর্তী বিএসএফ পেট্রোলিং রোডের কিছুটা অংশ হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।”
বিডিও দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “তারানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩১টি পরিবারের ১৩১ জন সদস্যকে সেখানে রাখা হয়েছে। সেখানে সরকারি উদ্যোগে খাদ্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।” ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া হাসিনা বেওয়া বলেন, “চোখের সামনে রাস্তার একটা বড় অংশ, বড় বড় গাছ তলিয়ে যেতে দেখে রাতে ঘুম হয় না। প্রশাসন অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করলেও স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই আমাদের।”
জঙ্গিপুর সেচ দফতরের বাস্তুকার মহম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, “এর আগে যে স্থানে ভাঙন হয়েছিল, সেখানে ভাঙন প্রতিরোধ করা গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তার পাশেই হঠাৎ করে ভাঙন হয়। রাত অবধি আলো জ্বেলে কাজ করা হয়। নতুন ভাবে ‘হাতিপাও পদ্ধতি’ প্রয়োগ করে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে বাঁশের খাঁচা বানিয়ে তার মধ্যে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে, এতে বালির বস্তার সঠিক প্রয়োগ হবে।”
ভাঙনে বিধস্ত পরিবার প্রসঙ্গে বিধায়ক মহম্মদ আলি বলেন, “সেচ দফতর কাজ করছে। যে সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রয়েছে, তাঁদের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে এবং ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা সব সময় নজর রাখছি তারানগরে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)