Advertisement
E-Paper

নেট বন্ধে দেরি করে জেলায় শুরু ধান কেনা

সোমবার জেলার ৪৫টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে বারোশো কৃষক ধান বিক্রি করবেন বলে তাঁরা নিজেরাই অনলাইনে দিন ঠিক করেছিলেন।

ধান কেনায় দেরি।

ধান কেনায় দেরি। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৪
Share
Save

চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার দু’দিন আগে বেলডাঙার অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে জেলা জুড়ে সপ্তাহখানেক ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা ছিল না। যার জেরে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করতে পারেনি জেলা খাদ্য দফতর। সোমবার থেকে জেলা জুড়ে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হল।

সোমবার জেলার ৪৫টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে বারোশো কৃষক ধান বিক্রি করবেন বলে তাঁরা নিজেরাই অনলাইনে দিন ঠিক করেছিলেন। সেই মতো এ দিন কৃষকেরা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান নিয়ে এসেছিলেন। এ দিন জেলা খাদ্য নিয়ামক সুদীপ্ত সামন্ত কান্দি এবং বহরমপুরের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনার কাজ ঘুরে দেখেছেন। সুদীপ্ত বলেন, ‘‘ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতেই সোমবার থেকে জেলা জুড়ে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এ বার থেকে লাগাতার ধান কেনা হবে।’’

জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বারে ধানের সহায়ক মূল্য বেড়ে কুইন্টাল পিছু ২৩০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কৃষকদের কুইন্টাল পিছু অতিরিক্ত কুড়ি টাকা করে দেওয়া হবে। এ বারে জেলায় ৬০টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ধান কেনা হবে। ইতিমধ্যে ৪৫টি স্থায়ী কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনা শুরু হয়েছে। কাল বুধবার থেকে জেলার আরও পনেরোটি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রে মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু হবে বলে খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। ধান কেনার সঙ্গে যুক্ত সরকারি পোষিত এজেন্সিগুলি বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি, ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড, ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে। এ রকম প্রায় ২০০টি সংস্থাকে দিয়ে ধান কেনা হবে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই মাঠ থেকে কৃষকদের ঘরে ধান উঠতে শুরু করেছে। তবে সেই সঙ্গে শীতকালীন ফসল চাষের জন্য চাষীদের এই সময় হাতে নগদ টাকার প্রয়োজন। জেলা প্রশাসন এবং খাদ্য দফতরও সে কথা মাথায় রেখেই ১৮ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা বন্ধ রাখতে হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Berhampore

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}