E-Paper

পুজোর মুখে ফের ভাঙন শমসেরগঞ্জে

নদীপাড়েই বাড়ি আলফাজুদ্দিনের। আগেই বাড়ি ছেড়ে যান তাঁরা। নদীতে কার্যত ঝুলে ছিল তাঁদের বাড়ি। এ দিন তা ভেঙে পড়ে সকালেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৬
শিকদারপুরে নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন।

শিকদারপুরে নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন। নিজস্ব চিত্র।

জল কমে গিয়ে আবার সামান্য বাড়তেই ফের শমসেরগঞ্জে ভাঙন আছড়ে পড়ল শুক্রবার। এ দিন বিপর্যয়ের মুখে পড়ল শিকদারপুর গ্রাম। অন্তত ৪টি বাড়ি ধসেছে এ দিন নদী গর্ভে। ২৪টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এলাকা ছেড়েছেন। এ দিন শমসেরগঞ্জে জলস্তর ২১.৮৭ মিটার। বৃহস্পতিবার ছিল ২১.৮৫ মিটার। যা বিপদসীমার নীচে। ফরাক্কাতেও বৃহস্পতিবার জলস্তর ছিল ২২.৯৯ মিটার। শুক্রবার তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ২৩.০৩ মিটার।

নদীপাড়েই বাড়ি আলফাজুদ্দিনের। আগেই বাড়ি ছেড়ে যান তাঁরা। নদীতে কার্যত ঝুলে ছিল তাঁদের বাড়ি। এ দিন তা ভেঙে পড়ে সকালেই। একই ভাবে ভেঙে পড়ে সাকির শেখের বাড়িও। তাঁরাও আগেই সরে গিয়েছেন। সহিদের বাড়িও এ দিন ধসেছে গঙ্গাগর্ভে।

এ দিনের ভাঙনের ফলে ২৪টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানিয়েছে প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত। তাদের হাতে এ দিন কিছু খাদ্য সামগ্রী ও ত্রিপল তুলে দেয় পঞ্চায়েত। সেখানেই ছিলেন শমসেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম।

বিধায়কের অভিযোগ, “প্রতিদিনই ভাঙনের মধ্যে পড়ছে শমসেরগঞ্জের কোনও না কোনও গ্রাম। শুক্রবার ২৪টি পরিবার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কী বলব? কোনও ভাষা নেই। সকালে যাদের বাপ-দাদুর হাতে গড়া ভিটে দাঁড়িয়েছিল বিকেলে তা নিশ্চিহ্ন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ, শমসেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত মানুষকে বাঁচান। নীরব দর্শক হয়ে থাকবেন না। নীরবতা ভাঙুন। কয়েকটি গ্রাম বিলীন হতে চলেছে নদী ভাঙনে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতায়।”

বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “এখানকার সাংসদ, বিধায়করা শমসেরগঞ্জের পরিস্থিতির কথা চিঠি লিখে কখনও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাননি। শুধু কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে লাভ নেই।এখানকার বিধায়করা চিঠি লিখুন প্রধানমন্ত্রীকে। তিন মাসের মধ্যে অবশ্যই অর্থ বরাদ্দ হবে ভাঙনের জন্য।’’ ভাঙন নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক জাকির হোসেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Samserganj River Erosion

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy